Garhbeta

মহকুমার দাবি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে

কয়েকমাস আগেই খোলা হয়েছে 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' সেল। সেখানেই ফোন করে গড়বেতাকে মহকুমা ঘোষণা করার দাবি জানানো হল এবার।

Advertisement

রূপশঙ্কর ভট্টাচার্য

গড়বেতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:১৫
Share:

—প্রতীকী ছবি

উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়িকে মহকুমা করার কথা সোমবারই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে ফের সামনে এল গড়বেতাকে মহকুমা করার দাবি।

Advertisement

কয়েকমাস আগেই খোলা হয়েছে 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' সেল। সেখানেই ফোন করে গড়বেতাকে মহকুমা ঘোষণা করার দাবি জানানো হল এবার। গড়বেতা মহকুমা উদ্যোগ কমিটির সম্পাদক শ্যামল মহাপাত্র কয়েকদিন আগে ওই ফোন করেন। জানা গিয়েছে, গত জুন মাসেও একবার ওই নম্বরে ফোন করেছিলেন তিনি। সেবার নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্য ভাল যোগাযোগ হয়নি। তবে সেই ফোনের ভিত্তিতে এক সপ্তাহ পরে 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী' সেল থেকে শ্যামলকে ফোন করে বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এরপরে তিনি কয়েকদিন আগে তিনি 'সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী'র দেওয়া নম্বরে ফোন করে বিস্তারিতভাবে গড়বেতাকে মহকুমা করার দাবি জানান।

প্রবীণ আইনজীবী শ্যামল গড়বেতা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকও বটে। তিনি বলেন, "১৯৯৯ সালে গড়বেতা মহকুমা উদ্যোগ কমিটি গড়ে ওঠে। তারপর থেকে রাজ্য-জেলা প্রশাসনিক মহলে অনেকবার আবেদন নিবেদন করেছি। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কয়েক বছরে জেলা ভেঙে একাধিক জেলা, মহকুমা করেছেন। বৃহত্তর গড়বেতাতেও মহকুমা করা যেতে পারে। সেকথা জানাতেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে ফোন করেছিলাম। ফোনের অপর প্রান্তের ব্যাক্তি প্রায় ৯ মিনিট ২০ সেকেন্ড ধরে আমার কথা শুনেছেন।"

Advertisement

গড়বেতা মহকুমা উদ্যোগ কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮৭২ সাল থেকে ১৮৭৬ সাল পর্যন্ত গড়বেতা মহকুমা ছিল। তার প্রমাণও আছে। এখন গড়বেতা আদালতের আওতায় যে এলাকা আছে তা হাওড়া জেলার চেয়েও বড়। গড়বেতা, গোয়ালতোড় থানা, চন্দ্রকোনা রোড পুলিশ বিট হাউস এলাকা-সহ আনন্দপুর থানা ও কেশপুর থানার একাংশের কাজ গড়বেতা আদালতে হয়। যার মধ্যে প্রায় ১৪০০টি মৌজা রয়েছে। সেগুলি নিয়ে গড়বেতা মহকুমা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গড়বেতা আদালতে রয়েছে দু’টি সিভিল কোর্ট, দু’টি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, একটি এসিজেএম কোর্ট। ২০১৪ সালে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের পর গড়বেতায় অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা এসিজেএম কোর্ট হয়।

শ্যামল বলেন, "গড়বেতা ১ ব্লকের কাদড়া এলাকা থেকে মেদিনীপুর সদর মহকুমা শহরের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার। সেই এলাকার মানুষকে মহকুমায় কাজে যেতে হলে সারাদিন পেরিয়ে যায়। গড়বেতাকে মহকুমা করলে সেই দূরত্বই কমে যাবে ৪০-৪২ কিলোমিটার। তাই আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি গড়বেতাকে সদর দফতর করে মহকুমা করা হোক। এখানে মহকুমা করার পর্যাপ্ত জায়গাও আছে। সুবিধাও আছে।"

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, "গড়বেতাকে মহকুমা করার বিষয়টি রাজ্য প্রশাসনের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। এটি রাজ্যের নজরে রয়েছে।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement