দুধের স্টল তৈরির কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র।
যাত্রী প্রতীক্ষালয় বদলে তৈরি হচ্ছে মাদার ডেয়ারির স্টল। যা ঘিরে আপত্তি করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
এগরা পুরসভার ত্রিকোণ পার্কের কাছে ছিল খড়্গপুর বাসস্ট্যান্ড। সেখানে কাঁথি-বেলদা সড়ক সংলগ্ন এলাকায় প্রায় এক ডেসিমাল সরকারি জায়গায় তৈরি হয় যাত্রী প্রতীক্ষালয়। গত কয়েক বছর আগে এলাকার যানজট এড়াতে পুরোনো এই বাসস্ট্যান্ডকে কিছুটা দূরে ফাঁকা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে সাংসদ তহবিলে নতুন দুটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হয়েছে। ফলে পুরনো যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে আগের মতো ভিড় হয় না। অভিযোগ, দিনে রাতে সেখানে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চলে।
গত সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের ‘লাইভ স্টক ডেভেলপমেন্টে কর্পোরেশন লিমিটেড’কে মাদার ডেয়ারির দুগ্ধ জাত দ্রব্য এবং হরিণঘাটার মাংস বিক্রির জন্য পুরসভা অনুমতি দেয়। সেই মতো জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে পুরনো যাত্রী প্রতীক্ষালয়কে ফুড স্টলে পরিণত করার কাজ করছে। ১০ বছরের জন্য প্রাথমিক চুক্তিতে সেটি এগরা পুরসভা জেলা পরিষদকে লিজ দিয়েছে। পুজোর আগেই এখান থেকে দুধ, দুগ্ধজাত সামগ্রী ও প্যাকেটজাত মাংস বিক্রি হওয়ার কথা।
তবে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে এভাবে ফুড স্টল গড়া নিয়ে আপত্তি তুলেছে এসইউসি। এ প্রতিবাদে তারা সম্প্রতি ওই প্রতীক্ষালয়ের সামনে পথসভাও করেছে। তাদের অভিযোগ, মানুষের বিশ্রামের জায়গা এভাবে দখল করে নিলে আমজনতাকে অসুবিধায় পড়তে হবে। সরকার ইচ্ছে করলে অন্যত্র এই স্টল তৈরি করতে পারে। এসইউসি’র এগরা লোকাল কমিটির সম্পাদক সনাতন গিরি বলেন, ‘‘আমরা সরকারি প্রকল্পের বিরোধী নেই। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে যাত্রী প্রতীক্ষায় দখল করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি মাত্র। অবিলম্বে যাত্রী প্রতীক্ষালয় দখল মুক্ত করতে হবে।’’
এ ব্যাপারে এগরার পুর প্রশাসক শঙ্কর বেরা বলেন, ‘‘পুরবাসীর সুবিধার্থে অব্যবহৃত যাত্রী প্রতীক্ষালয় সরকারি প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছে। এতে অসাজিক কাজকর্ম যেমন বন্ধ হবে। সেই সঙ্গে সহায়ক মূল্যে সাধারণ মানুষ দুগ্ধজাত খাবার কিনতে পারবেন।’’