আদিবাসী কিশোরীর দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ

এদিন সকালে বাড়ি থেকে দেড়শো মিটার দূরের একটি খেজুর গাছের তলায় গলায় ওড়নার ফাঁসে বসে থাকা অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৫৪
Share:

ঘটনাস্থলে মদের বোতল (চিহ্নিত) ও গ্লাস। নিজস্ব চিত্র

মঙ্গলবার রাতে গ্রামে ছিল জলসা। বুধবার সকালে যেখানে জলসা হয়েছিল তার অদূরেই উদ্ধার হল এক আদিবাসী কিশোরীর দেহ। ওই কিশোরীর দেহ যেখানে উদ্ধার হয় তার অদূরেই পাওয়া গিয়েছে মদের বোতল ও পাঁচটি গ্লাস।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর ওই কিশোরীর বাড়ি খড়্গপুর ২ ব্লক এলাকায়। এদিন সকালে বাড়ি থেকে দেড়শো মিটার দূরের একটি খেজুর গাছের তলায় গলায় ওড়নার ফাঁসে বসে থাকা অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়। ওড়নার একাংশ খেজুর গাছে বাঁধা ছিল।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, ওই কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ অবশ্য স্পষ্ট করতে পারেননি তদন্তকারীরা। তবে মৃতার পরিজনেরা সেই দাবি মানতে নারাজ। দেহটি উদ্ধার হয়েছে বসে থাকা অবস্থায়। তাঁদের দাবি, ওই ভাবে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে না। তাঁদের দাবি, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত থানায় সেই মর্মে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাবা অনেক বছর আগেই মারা গিয়েছে। বছর খানেক আগে বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সে লোকের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাত। মঙ্গলবার ওই গ্রামের ক্লাবে জলসা ছিল। সেটি গভীর রাত পর্যন্ত চলে। মায়ের সঙ্গে ওই কিশোরীও সেই জলসায় গিয়েছিল। সেখানে মামাতো বোনের সঙ্গে দেখা হয় তার। ঠিক হয়, জলসা শেষে রাতে মামাবাড়িতে চলে যাবে কিশোরী। তাই রাতে বাড়ি না ফেরায় কিশোরীর মা ভেবেছিলেন মেয়ে মামাবাড়িতেই থেকে গিয়েছে। বুধবার সকালে জানা যায়, সে মামাবাড়িতে যায়নি। তার পরেই শুরু হয় খোঁজ। কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে।

কিশোরীর মামতো বোনের দাবি, “যেখানে জলসা হচ্ছিল তার আশপাশে একটি চাউমিনের দোকানের সামনে পাঁচজন ছেলে দিদিকে ধরে টানাহ্যাঁচরা করছিল। ওই ছেলেগুলো আমি চাউমিন খাব কি না জিজ্ঞাসা করে। আমি ওদের চিনি না। তাই ভয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।” যে ক্লাবের আয়োজনে মঙ্গলবার রাতে জলসা হয় তার সদস্যরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ক্লাবের সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, “আমরা শুনেছি একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এর বেশি জানি না।” দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ। পরে তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পরে কারণ স্পষ্ট হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement