নিজস্ব চিত্র।
চোখ রাঙাচ্ছে ‘ইয়াস’। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুসারে, রাজ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে চলেছে। পাশাপাশি, ঝড়ের মুখে পড়তে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাও। এই দুই জেলাতেই প্রশাসনিক প্রস্তুতি রয়েছে তুঙ্গে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৩ লক্ষ ৫০ জনকে। এর মধ্যে মেদিনীপুর সদর মহকুমার ৬০ হাজার ৮৯৮ জন বাসিন্দা রয়েছেন। খড়গপুর মহকুমায় ৯৫ হাজার ৪৪৬ জন এবং ঘাটাল মহকুমায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭০৬ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। জেলায় রয়েছে ১ হাজার ৪৮৬টি আশ্রয়স্থল বা সাইক্লোন সেন্টার। এর মধ্যে মেদিনীপুর সদর মহকুমায় ৩৩৫টি, খড়গপুর মহকুমায় ৯১৪টি এবং ঘাটাল মহকুমায় ২৩৭টি রেসকিউ সেন্টার খোলা হয়েছে। এগুলিতেই নিরাপত্তার খাতিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে।
মঙ্গলবার রাতের খবর অনুসারে, এখনও স্থলভাগ থেকে বেশ কিছুটা দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। বুধবার বেলা বাড়তেই এটি স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তর ওড়িশায় এই ঝড় আছড়ে পড়লেও দুই মেদিনীপুর জেলাতে ঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে বলে খবর মিলেছে।