পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের রাখা হয়েছে ঘাটালের নকুড়দানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র
ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের স্কুলবাড়িতে থাকার অনুমতি দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার রাতে সেই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি আসে ঘাটাল মহকুমাতেও। বুধবার ঘাটাল-দাসপুরের শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিককে বিভিন্ন স্কুলবাড়িতে এনে রাখা হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের স্কুলে রাখা হচ্ছে। স্কুল খোলার আগে সেগুলি জীবাণুমুক্ত করে দেওয়া হবে।”
সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্য থেকে স্বর্ণশিল্পী-সহ পরিযায়ী শ্রমিকেরা ঘাটাল মহকুমায় ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁদের নিভৃতবাসে (হোম কোয়ারন্টিন) থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু অধিকাংশ শ্রমিকের বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই অনেকেই বাড়ি লাগোয়া ফাঁকা জায়গায় ত্রিপল খাটিয়ে কিংবা গোয়ালঘরে দিন কাটাচ্ছিলেন। কেউ কেউ পরিত্যক্ত ঘর সংস্কার করে সেখানে থাকতে শুরু করেছিলেন। এরমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাষ পেয়ে অনেকেই বাড়ির কাছের স্কুল বাড়িতে চলে যান।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আগামী ৭ জুন পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকেরা স্কুলে থাকতে পারবেন। স্কুলবাড়িতে থাকাকালীন যাতে সবাই মাস্ক ব্যবহার করেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। স্কুলবাড়িতে খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’’
ওড়িশা সীমান্ত লাগোয়া দাঁতনের সোনাকোনিয়ায় ভিন্ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের বুধবার দুপুরের মধ্যে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসে করে বাড়ি পাঠানো হয়। যাঁরা থেকে যান তাঁদের একটি স্কুলবাড়ি ও হোটেলে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন, ‘‘প্রায় ৪৫০ জন শ্রমিক সোনাকোনিয়ায় থেকে গেছেন। তাঁদের নিরাপদে রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমলে তাঁদের বাড়ি পাঠানো হবে।’’ দাঁতন ১ এর বিডিও অনিরুদ্ধ ঘোষও জানান, সোনাকোনিয়ায় যে সব শ্রমিক আটকে ছিলেন তাঁদের দু’টি স্কুলে এনে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে তামিলনাড়ু থেকে ১০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ভিন্ রাজ্য থেকে গোয়ালতোড়ে আসেন। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বিডিও সোফিয়া আব্বাস জানান।