প্রতীকী ছবি।
আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য পূর্ব মেদিনীপুরে দ্বিতীয় দফায় প্রায় ৬৬ হাজার পরিবার সরকারি ক্ষতিপূরণের আওতায় এল। বৃহস্পতিবার জেলাপ্রশাসনের তরফে প্রকাশিত ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকায় এই সব পরিবারের নাম রয়েছে। এর মধ্যে ১৪২৩ টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও ৬৪ হাজার ৮০৬ টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি রয়েছে। অর্থাৎ ৬৬ হাজার ২২৯ টি পরিবার দ্বিতীয় দফায় ক্ষতিপূরণ পাবেন। ক্ষতিপূরণের জন্য জমা পড়া প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫১৫টি আবেদন বাতিল হয়েছে। শতাংশের হিসাবে ক্ষতিপূরণের জন্য জমা পড়া আবেদনের মাত্র ৩২ শতাংশ ক্ষতিপূরের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। বাকি প্রায় ৬৮ শতাংশ আবেদনই ভুয়ো বলে তদন্তে ধরা পড়েছে।
জেলা শাসক পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য দ্বিতীয় দফায় প্রায় ২ লক্ষ ১১ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। তদন্তের পর ৬৪ হাজার ৮০৬ টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও ১৪২৩ টি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ক্ষতিপূরণের জন্য গৃহীত হয়েছে। বাকি আবেদন বাতিল হয়েছে।’’ তিনি জানান, ক্ষতিপূরণের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে ৩৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। সেই টাকা পাওয়া গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আমপানে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য দ্বিতীয় দফায় ৬ ও ৭ অগস্ট আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের বিডিও অফিসে ও পুর এলাকার বাসিন্দাদের মহকুমাশাসকের দফতরে আবেদন জমা নেওয়া জমা পড়া আবেদনের তদন্তের জন্য ব্লক, মহকুমা প্রশাসনকে ১২ অগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। বুধবার তদন্তের কাজ শেষ হওয়ার পরে জেলার সব মহকুমাশাসক এবং বিডিও তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন জেলা প্রশাসনের কাছে। জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার জেলার সমস্ত ব্লক ও মহকুমাশাসকের অফিসে ক্ষতিপূরণ প্রাপক এবং আবেদন বাতিলের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
ক্ষতিপূরণের আবেদন নিয়ে তদন্তের সময় আবেদনের একটা বড় অংশ ভুয়ো হওয়ায় ওই সব আবেদন বাতিলের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। তাই ক্ষতিপূরণপ্রাপক ও বাতিল আবেদনের তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে গোলমাল এড়াতে এদিন সমস্ত বিডিও, মহকুমাশাসকের অফিসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। যদিও জেলার কোনও ব্লকেই বড় কোনও গোলমাল হয়নি বলে জেলাপ্রশাসন সূত্রে খবর।