প্রতীকী ছবি
আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও পান বরজের জন্য সরকারি সাহায্য প্রাপকের তালিকা নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে।
তমলুক, পাঁশকুড়া ও রামনগর এলাকতেও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সাহায্য প্রদানে অনিয়ম ঠেকাতে ও প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে বঞ্চিত না হন সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। শনিবার তমলুকে এক সাংবাদিক বৈঠকে জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারীও এবিষয়ে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ও দলের নেতাদের সতর্ক করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়ে রবিবার নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাট পশ্চিম এবং বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে সর্বদল বৈঠক করে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। তবে ব্যবত্তারহাট পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে সর্বদল বৈঠকে যোগ দেয়নি বিজেপি। যদিও বাসুদেবপুর পঞ্চায়েত অফিসে ডাকা বৈঠকে বিজেপির দু’জন পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিয়েছিলেন।
ব্যবত্তারহাট পঞ্চায়েত অফিসে এদিন প্রথমে পঞ্চায়েতের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে তৃণমূল প্রধান স্বপ্না মাজি সহ তৃণমূলের সব সদস্য ও বিরোধী দলনেতা সিপিএমের বুদ্ধদেব গুছাইত-সহ বামফ্রন্টের তিন সদস্য এবং কংগ্রেস সদস্য নিশাঙ্ক ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন। আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের ও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে তালিকায় স্থান পান সে জন্য বিরোধী দলের সদস্যদেরও সহযোগিতা চাওয়া হয়। এদিনই পঞ্চায়েত অফিসে সর্বদল বৈঠক করেন প্রধান। বৈঠকে বিজেপির দলীয় প্রতিনিধিকে ডাকা হলেও তাঁদের প্রতিনিধি যাননি বলে অভিযোগ।
সর্বদলীয় বৈঠকে দলীয় প্রতিনিধি না যাওয়ার কথা স্বীকার করে বিজেপি স্থানীয় মণ্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ মান্না বলেন, ‘‘আমপানের পর ৪০ দিন কেটে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেককে ‘ফুড কুপন’ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছিলাম। আমপান ও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে দুর্নীতি ঢাকতেই এখন সর্বদল বৈঠক ডাকা হচ্ছে। তাই বৈঠক বয়কট করা হয়েছে।’’
পঞ্চায়েত প্রধান স্বপ্না মাজি বলেন, ‘‘আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ঠিক নয়। পঞ্চায়েতের বিরোধী দলের সদস্যদের নিয়ে আগেও বৈঠক হয়েছে। আমাদের পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রতিনিধি নেই। এদিন সর্বদল বৈঠকে বিজেপির প্রতিনিধিকেও ডাকা হয়েছিল। বিজেপির প্রতিনিধি কেন আসেনি তা জানানো হয়নি। তবে বৈঠকে অন্যান্য দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’’