প্রতীকী ছবি
আমপানের প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নন্দীগ্রাম। বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত ত্রাণ পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ দুর্গতদের। খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন বহু মানুষ। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এই দুর্দিনে শাসক দলের নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি কারওরই দেখা মেলেনি। অথচ সমাজ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে নেতারা নন্দীগ্রামে গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঝড়ের পর ৪ দিন কেটে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ দূরের কথা, সামান্য ত্রিপল বা পানীয় জল পর্যন্ত কপালে জোটেনি। আমদাবাদ-২ নম্বর অঞ্চলের বাসিন্দা সমীর গিরির দাবি, ‘‘২২ মে নন্দীগ্রাম-২ বিডিও অফিসে একটা ত্রিপল চেয়েছিলাম। দু’দিন কেটে গেলেও ত্রিপল পাইনি।’’ সঙ্কট দেখা দিয়েছেন পানীয় জলেরও। দিনভর খোলা আকাশের নীচে রোদে কাটাতে হলেও এক ফোঁটা জল মিলছে না। পুকুরে গাছের পাতা পড়ে লেই জলও পানের উপযুক্ত নেই।
নন্দীগ্রামের বাসিন্দা সুনীল গিরি বলেন, ‘‘একদিকে বিদ্যুৎ নেই, মাথার ওপর ছাদ নেই, খাবার নেই। অন্যদিকে একটু জলও পাচ্ছি না। জীবন বাঁচানোই দুষ্কর। ঝড়ের পরে পাঁচ দিন কাটতে চললেও কোনও সরকারি আধিকারিক বা শাসক দলের নেতাদের দেখা মেলেনি।’’ বিষয়টি নিয়ে সরব বিজেপিও। খোদ পরিবহণ মন্ত্রীর এলাকাতেই যদি এই দশা হয় তা হলে জেলার বাকি বিপর্যস্ত অঞ্চলের কী দশা সেই প্রশ্ন তুলেছে তারা। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘ত্রিপলগুলো শাসক দলের নেতাদের কাছে এসেই উধাও হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যে এক হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তার ছিটেফোঁটাও পৌঁছয়নি নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে। তৃণমূল নেতাদের এতই অভাব যে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও তারা চুরি করতে ছাড়ছে না।’’
নন্দীগ্রাম বিধানসভা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মেঘনাথ পাল বলেন, ‘‘সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ত্রপিল বিলি শুরু হলেও এখনও সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সব জায়গায় জেনারেটার চালিয়ে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’