সমাজমাধ্যম বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন দেব। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলার আনাচকানাচে পৌঁছে যাচ্ছি ‘খাদান’ নিয়ে। দর্শক দেখতে চাইছেন বলে। আমি তাঁদের কাছে সরাসরি পৌঁছে যেতে চাই বলে। আমার সঙ্গে ‘খাদান’-এর পরিচালক সুজিত রিনো দত্ত আর নায়িকা ইধিকা পাল রয়েছেন। এই সফরের ফাঁকেই কয়েকটা কথা ভাগ করার ইচ্ছে হল। বিষয়টি সাম্প্রতিক সমাজমাধ্যম বিতর্ক নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, আমার অনুরাগীরা নাকি কটাক্ষ করছেন। প্রথমেই বলি, দেব এই বিষয়টিকে একেবারেই সমর্থন করে না। কাউকে কটাক্ষ করার ঘোর বিরোধী আমি।
একই ভাবে এর সঙ্গে ‘খাদান’ দলের কেউ কোনও ভাবে যুক্ত নয়। কোনও ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারকে কেন্দ্র করে কটাক্ষ করা ভীষণ অপছন্দের। কলাকুশলী এবং কাছের মানুষেরা জানেন, দেব আজ অবধি যা যা করেছে সবটাই নিজের জোরে করেছে। অন্য কাউকে ব্যবহার করে করেনি। সারা দিন খাটছি, পরিশ্রম করছি— যাতে সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছতে পারি। দর্শক যাতে আরও বেশি করে প্রেক্ষাগৃহে আসেন, ছবি দেখেন।
‘খাদান’ ছবির প্রচারে গিয়ে জনজোয়ারে ভেসেছেন দেব।
মন থেকে বলছি, এর বাইরে আর কিছুই চাই না। কিন্তু আপনারা যদি আমায় জিজ্ঞাসা করেন, কটাক্ষ নিয়ে কিছু বলার আছে কি না, তা হলে আমার উত্তর— আমি নিজে ছোটবেলা থেকে কটাক্ষের শিকার। একটা সময় আমারও শুনে খুব খারাপ লাগত। এখন দেখছি, সমাজমাধ্যমের যুগে এটাই রীতি! আগে যদিও বা মাথা ঘামাতাম এখন এড়িয়ে যাই। ব্লক করি না। স্রেফ এড়িয়ে যাই। বদলে ট্রোলের জবাব কাজ দিয়ে দিই। বুঝে গিয়েছি, খ্যাতনামীরা সারা ক্ষণ কটাক্ষের শিকার হবেন। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ম্যাচ হলে ভক্তদের মধ্যে মারপিট চলে। এটা কী করে আটকাবেন?
তাই বুঝেছি, কটাক্ষের পিছনে অকারণ সময় খরচ করলে বা বেশি মনোযোগ দিলে কোনও দিনই কাজ করতে পারব না। যাঁরা দেবের ছবি দেখেন, দেবের ভক্ত বলে পরিচিত তাঁদের কাছে তাই অনুরোধ, দয়া করে কাউকে কটাক্ষ করবেন না। ‘খাদান’ খুবই ভাল চলছে। ১০টা ‘খাদান’ চাই বা ১০টা ‘বিনোদিনী’র মতো ছবি চাই— এ রকম বলবেন না। ১০-১৫ কোটি নয়, কী করে ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করব, আমার এখন সেটাই লক্ষ্য। তার জন্যই সারা বাংলা ঘুরছি।