ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশের হয়ে প্রচার চালানোয় এক সিপিএম কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল।
পাঁশকুড়ার মাইশোরার চক পশ্চিম ইটরা গ্রামে শনিবার রাতের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ চক পশ্চিম ইটরা গ্রামের সিপিএম কর্মী আলমগীর হোসেনের বাড়িতে চড়াও হয় জনা তিরিশেক দুষ্কৃতী। তারা প্রত্যেকেই বাইকে চেপে এসেছিল বলে খবর। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা নভেন্দু মাইতির নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নভেন্দু মাইতি তৃণমূল নেতা কুরবান শা’র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
যদিও এই বিষয়ে নভেন্দু মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি কুরবান শা বলেন, ‘‘অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। মাইশোরা এলাকায় আলমগীর হোসেন নামে সিপিএমের কাউকে চিনি না।’’ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার সময় বাড়িতেই ছিলেন আলমগীর ও তাঁর পরিবারের লোকজন। আলমগীরের বাবা শেখ রফিকুল হোসেন প্রাক্তন পুলিশ কর্মী। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা শনিবার রাত ১০টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা বাড়িতে চড়াও হয়ে আলমগীরকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তাঁর বাবাকে চাপ দিতে থাকে। আলমগীরের বাবা শেখ রফিকুল তাতে রাজি না হওয়ায় দুষ্কৃতীরা আলমগীরের পোল্ট্রি ফার্ম ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে। ভাঙচুর চালানো হয় বাড়ির সামনে থাকা দুটি মোটর বাইকেও। বাধা দিতে এলে আলমগীরের স্ত্রী নইমা বিবিকে দুষ্কৃতীরা বাঁশের লাঠি দিতে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাণ্ডব চালিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা আলমগীরের পোল্ট্রি থেকে ১৫টি মুরগি নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পাঁশকুড়া থানায় তৃণমূল নেতা নভেন্দু মাইতির নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন আলমগীর। তিনি বলেন, ‘‘আমি বরাবর সিপিএম করি। ব্রিগেডে জনসভার সমর্থনে আমি এলাকায় পোস্টার লাগিয়েছিলাম। তাই তৃণমূলের লোকজন আমার বাড়িতে ও পোল্ট্রিতে হামলা চালিয়েছে।’’
সিপিএমবিধায়ক ইব্রাহিম আলির অভিযোগ, ‘‘আলমগীর আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও ওর বাড়িতে তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালিয়েছিল। এভাবে তৃণমূল গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করতে পারবে না।’’