দগ্ধ সরঞ্জাম। নিজস্ব চিত্র।
সিপিএমের একটি শাখা অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘাটাল শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিংহপুরের ঘটনা। ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। ক্ষোভের আঁচ পেয়ে তৃণমূলের ঘাটাল শহর কমিটির সভাপতি অরুণ মণ্ডলও ঘটনায় দলীয় স্তরে তদন্তও শুরু করেছেন।
বরাবরই শান্ত শহর বলেই পরিচিত ঘাটাল। প্রায় সত্তর হাজার মানুষের বাস ঘাটাল শহরে। ১৭টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট এই জনপদে রাজনৈতিক গণ্ডগোলের অভিজ্ঞতা বাসিন্দাদের নেই বললেই চলে। সদ্য বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের মযার্দা দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু সেই বার্তা যে গ্রামে পৌঁছায়নি, তার প্রমাণ এই ঘটনাই।
সিপিএমের ঘাটাল জোনাল কমিটির সম্পাদক উত্তম মণ্ড জানান, এখনও পর্যন্ত ঘাটাল ব্লকে ৫১টি দলীয় অফিসে হামলা হয়েছে। সোয়াই গ্রামে তিরিশ বছরের পুরনো একটি মাটির দলীয় অফিসকে জেসিপি মেসিন দিয়ে গুঁড়িয়ে মাঠ করে দেওয়া হয়েছে। উত্তমবাবুর কথায়, ‘‘বহু কর্মী এখনও ঘরছাড়া। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া,লুঠপাট,জরিমানা এখনও চলছে। সমস্ত ঘটনা তথ্য সহ পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।” সিপিএমের ঘাটাল শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক তুহীন বেরার অভিযোগ, “ঘাটাল শহরেও বেশ কিছু দলীয় কর্মীকে মারধোরের হুমকি দেওয়া হয়েছে। একাধিক বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। তবে দলীয় অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম।”
ঘাটাল শহর কমিটির সভাপতি অরুণ মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘সিংহপুরে বিজয় মিছিল শেষে একটা ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মিছিলে বহু সিপিএমের কর্মীও ছিল। তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সিপিএম সমর্থকেরাই এ কাজ করেছে।’’ তৃণমূলের ঘাটাল ব্লকের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ মাঝি বলেন, “ফল প্রকাশের পর ঘাটাল ব্লক জুড়েও কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। আমরা কর্মীদের সংযত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে।কানে আসার পরই দলীয় ভাবে ব্যবস্থাও নিয়েছি।’’শহরের ওই ঘটনায় দল তদন্ত শুরু করেছে।”