—প্রতীকী চিত্র।
নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল বোর্ড ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই পঞ্চায়েতের প্রধাণকে অপসারণের পাশাপাশি ৬সপ্তাহের মধ্যে নতুন বোর্ড গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন। আর তারপরই বিরোধী বাম ও বিজেপি শিবির জোট বেঁধে নতুন বোর্ড গঠনে তৎপর হয়েছে। উল্লেখ্য, এই নন্দকুমারেই বাম-বিজেপি জোট বেঁধে সমবায় দখল করেছিল।
গত ১১ অগস্ট শীতলপুর পশ্চিম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সভায় হাজির সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিরোধীরা যাতে জোট বেঁধে বোর্ড গড়তে না পারে, তাই এই পদক্ষেপ বলে অভিযোগ উঠেছিল। সে দিন গ্রেফতারের প্রতিবাদে সিপিএম, বিজেপি ও নির্দল সদস্যরা বোর্ড গঠনের সভা বয়কট করায় তৃণমূল সহজেই বোর্ড গঠন করেছিল। প্রধান হয়েছিলেন হাসিনা বিবি। এরপরই সিপিএম সদস্য ফণীভূষণ গুছাইত হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
২৩ আসনের ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ১১ জন, সিপিএমের ৫, বিজেপির ৫ ও দু’জন নির্দল সদস্য রয়েছেন। প্রধান পদ ওবিসি সংরক্ষিত। দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সিপিএমের ওবিসি সদস্য শেখ আব্দুল জব্বরকে প্রধান করে সিপিএম, বিজেপি ও নির্দল জোটের পরিকল্পনা আগেই হয়েছিল। হিসেব মতো ১২-১২ ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিরোধী জোটের বোর্ড গঠনের সম্ভাবনাও তৈরি হয়। কিন্তু জব্বরকে পুরনো মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করায় পাশা পাল্টে যায়। এখন ফের সিপিএম, বিজেপি ও নির্দল সদস্যরা জোট গড়ে বোর্ড গঠনে তৎপর হয়েছেন।
বিজেপি’র জেলা কমিটির সদস্য তথা নন্দকুমার বিধানসভা আহ্বায়ক সুকুমার বেরা মানছেন, ‘‘তৃণমূল যে বেআইনিভাবে ওই বোর্ড গঠন করেছিল, তা হাই কোর্টের রায়ে প্রমাণিত। আমাদের ওবিসি সদস্য নেই। তাই সিপিএমের ওবিসি সদস্য শেখ আব্দুল জব্বরকে প্রধান পদে সমর্থনের বিষয়ে দলে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে।’’ যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির বক্তব্য, ‘‘ওই পঞ্চায়েতে আমাদের ৫ জন সদস্য ছাড়াও আমাদের সমর্থিত দু’জন মিলে ৭ সদস্য রয়েছেন। বোর্ড গঠনের জন্য আমরা বিজেপির সমর্থন চাইব না বা জোট করব না। তবে আমাদের প্রধান পদপ্রার্থীকে ওরা সমর্থন করলে আমাদের বলার কিছু নেই।’’