Coronavirus

জরুরি পরিষেবা দিতে হেল্পলাইন তৃণমূলের

দামোদরপুর হাইস্কুলে কাজে এসে আটকে পড়েছিলেন মালদহ জেলার বৈষ্ণবপুর এলাকার বাসিন্দা ৪ জন শ্রমিক। সম্প্রতি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে ৪ শ্রমিকই বাড়ি ফেরার আর্জি জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

রঞ্জিত ঘোষ। বাড়ি ডুকি গ্রামে। লকডাউনে বেরোতে না পেরে ওষুধ কিনতে যেতে পারেননি। কয়েক দিন আগে সকালে হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করার পর তাঁর বাড়ির সামনে বাইক নিয়ে হাজির এক যুবক। তাঁকে প্রেসক্রিপশন আর টাকা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওষুধ হাতে পেলেন রঞ্জিত।

Advertisement

দামোদরপুর হাইস্কুলে কাজে এসে আটকে পড়েছিলেন মালদহ জেলার বৈষ্ণবপুর এলাকার বাসিন্দা ৪ জন শ্রমিক। সম্প্রতি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে ৪ শ্রমিকই বাড়ি ফেরার আর্জি জানান। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই শ্রমিকদের ফোনে মেসেজ— ‘আপনারা পুলিশের অমুক বাবুর সঙ্গে দেখা করুন, আপনাদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে’।

ছবিটা চন্দ্রকোনা রোডের। লকডাউন চলাকালীন সেখানকার ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে খোলা হয়েছে জরুরি পরিষেবা সহায়তা কেন্দ্র। রবিবার থেকে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে। পরিষেবা দিতে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে কেন্দ্রের দু’টি হেল্পলাইনও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সাতবাঁকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস প্রাঙ্গণে এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘যতদিন লকডাউন চলবে, ততদিন গৃহবন্দি অসহায় মানুষদের জরুরি পরিষেবা দেওয়া হবে এই কেন্দ্র থেকে।’’

কী পরিষেবা? ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি রাজীব ঘোষ জানান, এই সময় কেউ প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না, কেউ চিকিৎসক দেখাতে পাচ্ছেন না, কারও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের প্রয়োজন, ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পাচ্ছেন না, কিংবা আত্মীয় বাড়িতে এসে কেউ আটকে পড়ে বাড়ি যেতে পাচ্ছেন না, কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে না পেরে অভুক্ত থাকছেন— এসব নানা বিষয়ে অসুবিধায় পড়া মানুষদের জন্যই এই সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

কয়েকদিন ধরে মাইকে প্রচার করে ব্লক এলাকার সর্বত্র জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই সহায়তা কেন্দ্রের কথা। দিনে পাঁচঘণ্টা করে খোলা থাকবে এই কেন্দ্র। কেন্দ্রের অন্দরে কাজ করছেন ৬ জন কর্মী, আর মাঠেঘাটে কাজ করার জন্য আছেন আরও ৩৫০ জন কর্মী। বাইক নিয়ে থাকছেন ১০ জন কর্মী। হেল্পলাইনে ফোন এলেই তা আগে রেজিষ্ট্রার খাতায় আইডি নম্বর দিয়ে নথিবদ্ধ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে অসুবিধায় পড়া ব্যক্তির বাড়িতে ছুটে গিয়ে মুশকিল আসান করছেন বাইক বাহিনীর কর্মীরা। প্রথম দিনেই হেল্পলাইন নম্বরে ৩০ জন ফোন করে তাঁদের সমস্যার কথা জানান। সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করা হয় ১০টি ক্ষেত্রে। বাকিগুলিও দ্রুত সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন সহায়তা কেন্দ্রে কর্মরত তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতা সাগর মণ্ডল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement