প্রতীকী ছবি।
মুম্বই-হাওড়া শ্রমিক স্পেশ্যাল ননস্টপ ট্রেনে উঠে খড়্গপুরে নেমে গেলেন ৩৭৭ জন পরিযায়ী শ্রমিক। যদিও তাঁদের যাওয়ার কথা ছিল হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত। রবিবার দুপুরে খড়্গপুর এসে দাঁড়ায় মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থেকে থেকে হাওড়াগামী শ্রমিক স্পেশাল ননস্টপ ট্রেন। তখনই তাঁরা নেমে পড়েন।
রেল ও মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ট্রেনটি খড়্গপুরে দাঁড়াবে বলে আগেই ঠিক ছিল। তাই সেখানে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিকেরা নামবে বলে আগাম প্রস্তুতিও ছিল। কত জন নামতে পারেন শনিবার রাত থেকেই তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের শ্রমিকেরাও খড়্গপুরেই নামবেন। ফলে সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কায় আগে থেকেই খড়্গপুর স্টেশনে টেবিল, থার্মাল স্ক্রিনিং ও বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। রেলের এক আধিকারিক জানান, এ দিন যাঁরা ওই ট্রেন থেকে নেমেছেন তাঁদের মধ্যে ২৭৩ জন পশ্চিম মেদিনীপুরের। তাঁদের স্টেশন থেকে লালারস পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “প্রাথমিকভাবে ৭০জন শ্রমিক নামবে বলে আমরা জানতে পেরেছিলাম। সংখ্যাটা বাড়ার প্রস্তুতিও ছিল। সকলকে বাসে করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের জেলার যে পরিযায়ী শ্রমিকেরা এসেছেন তাঁদের লালরসের নমুনার জন্য পাঠানো হয়েছে।”
এ দিন দিল্লি থেকে ভুবনেশ্বরগামী একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনও হিজলি স্টেশনে এসে পৌঁছয়। ভিন্ রাজ্যে আটকে থাকা ১৬৬ জন ওই ট্রেন থেকে নেমেছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তাঁদেরও লালারসের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে।