কড়া নজরদারি। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় সরকারের করোনা তালিকায় ‘রেড জোন’ অর্থাৎ বিপজ্জনক স্থানেই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। তবে পরিস্থিতি ক্রমশ ভাল হওয়ায় জেলা এগোচ্ছে ‘অরেঞ্জ জোন’-এর দিকে। জেলার অন্যতম পুর-শহর কাঁথির অবস্থাও ভাল। ফলে, এই পরিস্থিতিতে আজ, সোমবার থেকে কী কী ক্ষেত্রে ছাড় মিলতে পারে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় রবিবার বলেন, ‘‘সামগ্রিকভাবে গোটা জেলা ‘রেড জোন’-এ রয়েছে। তবে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলা গোড়া থেকেই ‘গ্রিন জোন’-এ। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের সুপারিশ মেনে সোমবার থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করা হলেও তা কী ভাবে হবে সেটা প্রশাসন চূড়ান্ত করবে। লকডাউন সম্পূর্ণ না ওঠা পর্যন্ত মানুষকে সবসময় সতর্ক থাকতেই হবে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলায় এখনও পর্যন্ত ২১ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের সকলেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। চলছে লাগাতার নদরদারি। রবিবার থেকে কাঁথি শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি জায়গায় ধারাবাহিকভাবে নাকা তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। শহর এবং শহরতলির বহু মানুষ গত কয়েকদিন কাঁথিতে ভিড় করছিলেন। সকাল হলেই খুলছিল বেশ কিছু দোকানপাট। ফলে, করোনা সংক্রমণ নিয়ে বাড়ছিল উদ্বেগ। পরিস্থিতি দেখে কাঁথি শহরের রসুলপুর বাসস্ট্যান্ড, জুনপুট বাসস্ট্যান্ড, ক্যানাল পাড় সেতু এবং বাইপাসগুলিতে ‘স্পিড ব্রেকার’ বসিয়ে নাকা তল্লাশি শুরু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। মূলত মোটরবাইক এবং চার চাকা নিয়ে যাঁরা শহরে ঢুকছেন এবং বেরচ্ছেন, তাঁদের আটকে জি়জ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চলছে তথ্য যাচাই। সংশ্লিষ্ট গাড়ির নম্বর ও চালকের নাম নথিভুক্ত করে রাখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ক্যানাল পাড়-সহ একাধিক জায়গায় পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পও তৈরি করা হচ্ছে। আপাতত সুপার মার্কেট কাঁথির অরবিন্দ স্টেডিয়ামে স্থানান্তরিত করা হলেও সকাল এবং সন্ধ্যায় শহর এলাকায় পুরোপুরি ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে আজ, সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে কাঁথি শহর কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় পাবে, আদৌ পাবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
কাঁথির মহকুমাশাসক শুভময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সোমবার থেকে কোন কোন ক্ষেত্রে কী নিয়ম কার্যকর হবে সে ব্যাপারে কিছুই বলতে পারব না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কিছু নির্দেশিকা আসেনি।’’ এ ব্যাপারে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।