Greetings Card

গ্রিটিংস কার্ডের রেওয়াজ কমছে 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগেও নতুন বছরে শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে গ্রিটিংস কার্ড কিনতে দোকানে ভিড় হত।

Advertisement

সাগর হালদার  

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:২০
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ইংরেজি বছর শেষের মুখে। তবে ‘ডিজিটাল’-নির্ভর এই সময়ে দোকানে দেখা মিলছে না গ্রিটিংস কার্ডের। অনেকেই মনে করছেন, ই-শুভেচ্ছার যুগে ক্রমশ ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদা কমছে এই কার্ডের। যে কারণে গ্রিটিংস কার্ডের রমরমা নেই স্থানীয় দোকানগুলিতেও।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগেও নতুন বছরে শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে গ্রিটিংস কার্ড কিনতে দোকানে ভিড় হত। তার সঙ্গে কেনা হত রংবেরঙের পেন। এর দৌলতে ব্যবসা ভালই চলত ব্যবসায়ীদের। নানা মূল্যের গ্রিটিংস কার্ড দোকানে তুলতে দেখা যেত দোকানদারদের। দীপাবলির আগে যেমন ক্রেতাদের আকর্ষণের জন্য ছোট ছোট টুনি বাল্ব জ্বালিয়ে দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখেন দোকানদারেরা, তেমন ভাবেই নতুন বছর আসার সপ্তাহখানেক আগে থেকে গ্রিটিংস কার্ড সাজিয়ে রাখা হত দোকানে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে কার্ডের
চাহিদা কমেছে।

দোকানদারেরা জানাচ্ছেন, এখন সাধারণ মানুষ অনেক আধুনিক হয়েছে। হাতে এসেছে স্মার্টফোন। কোনও বিশেষ দিন হোক বা জন্মদিন, ওই ফোনের মাধ্যমে অগ্রিম শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যম মারফতই। দোকানদারের পাশাপাশি প্রবীণেরা জানিয়েছেন, দশমীতে পোস্টকার্ড কিনে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণের রেওয়াজ যেমন কমেছে, ঠিক তেমনই ঐতিহ্যবাহী গ্রিটিংস কার্ড কিনে তাতে শুভেচ্ছা বার্তা লেখার রেওয়াজও অতীত হচ্ছে।

Advertisement

দোকানি সার্থক বিশ্বাস যেমন বলেন, “করোনার পর থেকে আমি আর দোকানে গ্রিটিংস কার্ড তুলছি না। তবে এই কার্ড নেওয়ার কোনও চাহিদাও ক্রেতাদের মধ্যে দেখছি না।” আবার, ব্যবসায়ী বিকাশ কর্মকার বলেন, “দোকানে দামি না হলেও দশ-কুড়ি টাকার মধ্যে পাঁচশো পিস কার্ড তুলেছিলাম। কিন্তু গত বার একশোটা কার্ডও বিক্রি হয়নি‌।”

অনেকেই মনে করছেন, বর্তমানে সমাজমাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণের আকর্ষণ বেড়েছে। আর সেই কারণেই ক্রমশ নতুন বছরে গ্রিটিংস কার্ড বিনিময়ের গুরুত্ব হারাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement