মদের দোকানের সামনে লাইন। পাঁশকুড়ায়। নিজস্ব চিত্র
হোম ডেলিভারিতে মিলেছে আংশিক ছাড়। তাতেও রয়েছে একাধিক বিধি নিষেধ। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো দোকান খুলে মদ বিক্রি করতে দেখা গেল পাঁশকুড়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। দোকান খোলার খবর পেয়ে ভিড় জমান ক্রেতারা। লম্বা লাইনের পাশাপাশি কে আগে মদ কিনবেন, এ নিয়ে শুরুও হল হুড়োহুড়ি।
লকডাউন চলাকালীন পাঁশকুড়া স্টেশন বাজারে দৈনিক জমায়েত নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের এমনীতেই অভিযোগ রয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পাঁশকুড়া স্টেশনের আনাজ বাজার পাঁশকুড়া কৃষক বাজারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিও উঠেছে। এই সমস্ত অভিযোগের মধ্যেই শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ পাঁশকুড়া স্টেশন বাজারে সরকারি একটি লাইসেন্স প্রাপ্ত একটি মদ দোকানের কাউন্টার খুলে দেন মালিক। মুহূর্তে দোকানের সামনে পড়ে যায় লম্বা লাইন। সেই লাইনে ছিল না নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। উল্টে লাইনে দাঁড়ানো ক্রেতাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা পাঁশকুড়া পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর কল্যাণ রায় বলেন, ‘‘এমনিতেই পাঁশকুড়া স্টেশন এলাকায় লকডাউন কেউই মানছে না। তার ওপর মদের দোকান খুলে দেওয়ায় প্রচুর মানুষ ভিড় করে মদ কিনছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে কেন্দ্রীয় সরকার করোনা সংক্রমণের হটস্পট হিসাবে ঘোষণা করেছে। অথচ এখানে কোনও সুরক্ষা বিধি মানা হচ্ছে না।’’ এই বিষয়ে তমলুকের আবগারি দফতরের সুপারিনটেনডেন্ট যতন মণ্ডল বলেন, ‘‘মদ দোকান খোলার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। স্থানীয় থানাকে বলছি খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করতে।’’