মুখোমুখি: সাতবাঁকুড়া পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে। নিজস্ব চিত্র
চাল বিলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতি চন্দ্রকোনা রোডে। মঙ্গলবার দুপুরে চন্দ্রকোনা রোডের সাতবাঁকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরের ওই ঘটনায় পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সাতবাঁকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে বেশ কিছুদিন ধরেই ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে পরিষেবা কেন্দ্র খুলে লকডাউনে গৃহবন্দি অসহায় মানুষদের চাল, ডাল, আনাজ-সহ ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোেগ, সরকারি চাল পাচার হচ্ছে তৃণমূলের এই পরিষেবা কেন্দ্রে। এ দিন দুপুরে এই অভিযোগেই গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা। সেইসময় বিজেপির স্থানীয় নেতারা সেখানে পৌঁছলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। তৃণমূলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি রাজীব ঘোষের সঙ্গে কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজীব কুণ্ডু।
বন্ধ হয়ে যায় ত্রাণ বিলি। পরে পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষকেই সেখান থেকে সরিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গড়বেতা ৩ ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা গিয়ে ত্রাণ শিবিরের সবদিক খতিয়ে দেখেন।
বিজেপি নেতা রাজীব কুণ্ডুর অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত অফিস থেকে তৃণমূলের নেতারা চাল চুরি করছিল, আমাদের মহিলা মোর্চার সদস্যেরা সেখানে গিয়ে হাতেনাতে তা ধরে ফেলেন। আমাকে পঞ্চায়েত অফিস থেকে টেনে বার করে দেওয়া হয়।’’ তৃণমূল নেতা রাজীব ঘোষ বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিজেপি আমাদের পরিষেবা কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে আমাদের কর্মীদের একটু ঠেলাঠেলি হয়েছে।’’ বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে জেলাপরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল নেত্রী উত্তরা সিংহ বলেন, ‘‘মূর্খ বিজেপি জানে না সরকারি চাল কোনটা, আর কোনটা সাধারণ মানুষের সাহায্যের চাল। অসহায় মানুষদের জন্য পরিষেবা কেন্দ্র বানচাল করতে আসা বিজেপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করব।’’ এই ঘটনায় দু'পক্ষই ব্লক প্রশাসনের কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে ব্লক প্রশাসন।