প্রতীকী ছবি
লকডাউনে আটকে পড়েছেন ২৬ জন পরিযায়ী ফেরিওয়ালা। বারবার দাবি জানালেও বাড়ি ফেরা হয়নি। বিহারের বাসিন্দা ওই পরিযায়ীদের বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার বাধল খড়্গপুরের মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে। লাঠিচার্জ করল পুলিশ। ১২ জন পরিযায়ীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
বিহারের বিভিন্ন জেলার এই ফেরিওয়ালারা খড়্গপুরের মীরপুরে একটি বাড়িতে ভাড়ায় ছিলেন। এখন রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। বারবার বাড়ি ফেরানোর দাবি জানিয়ে সুফল না পেয়ে এ দিন মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। ভাঙচুর, কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। মহকুমাশাসকের অফিসের বাইরের রাস্তায় অবরোধেও শামিল হন তাঁরা। আসে পুলিশ। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পরিযায়ীদের উপর লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, সরকারি কর্মীকে হেনস্থা-সহ একাধিক অভিযোগে ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘বাড়ি ফেরানোর দাবিতে ভাঙচুর, সরকারি কর্মীকে হেনস্থা, লকডাউনে পথ অবরোধ বরদাস্ত করব না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ওই ফেরিওয়ালাদের ত্রাণ পৌঁছনো হয়েছে। এলাকাটি গ্রামীণ থানার হলেও টাউন পুলিশ থেকেও ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। বিক্ষুব্ধ ফেরিওয়ালাদের তরফে বিশ্বজিৎ কুমারের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘আমাদের হাতে টাকা নেই। যে ত্রাণ পেয়েছি তাতে একবেলা খেয়েছি। রান্নার গ্যাস নেই। বারবার বিহারে ফেরানোর দাবি জানিয়েছি। বলেছে বিহার সরকারের অনুমতি নিতে। সেই অনুমতি পাওয়ার পরেও কোনও বন্দোবস্ত হয়নি। তাই আন্দোলন করছি।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন বিক্ষোভ চলাকালীন অফিসের কর্মীদের সঙ্গে বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়। ওই পরিযায়ীদের হাতে সরকারি কর্মীরা হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ঘটনাটি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালে অফিসে থাকা বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে দেয় পরিযায়ীরা। এমনকি করোনা সচেতনতার ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেয় তারা। তার পরে অবরোধ শুরু হতেই ছুটে আসে পুলিশ। শুরু হয় লাঠিচার্জ। এমনকি পুলিশের ভিড়ে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকেও লাঠি হাতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে শহরে। যদিও বিষয়টি নিয়ে খড়্গপুরের তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘আমি ভিডিয়ো কনফারেন্সে ছিলাম। বিষয়টি আমার জানা নেই।’’