প্রতীকী চিত্র।
জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারের কাছে পৌঁছেছে। মৃতের সংখ্যা ৫৫ ছুঁয়েছে। তবে তার মধ্যেই আশা জাগিয়ে বাড়ছে জেলায় সুস্থতার সংখ্যাও। জেলার অন্যতম প্রধান কোভিড হাসপাতাল পাঁশকুড়ার মেচগ্রামের বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে ইতিমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন ১০৩৮ জন।
তবে জেলার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে ও সারা দেশেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেলেও আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে চতুর্থদফার আনলক পর্ব শুরু হচ্ছে। চতুর্থ দফার আনলক পর্বে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রো রেল চালু করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এছাড়াও ২১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক কাজকর্ম, খেলাধূলার জন্য সর্বোচ্চ ১০০ জনের জমায়েত করা যাবে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেপ্টেম্বর মাসেই জেলায় প্রকাশ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। প্রতি ব্লক ও অঞ্চল এলাকায় জমায়েত ও সভার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। ৪ সেপ্টেম্বর সব ব্লকে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দলের জেলা (তমলুক) সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘২৭ সেপ্টেম্বরের পরেই জেলার বিভিন্ন ব্লকে প্রকাশ্য জমায়েতের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তার আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ৪ সেপ্টেম্বর প্রতি ব্লকে বিডিও অফিসে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’’
কিন্তু ওই সময়ে তো লোকজন জমায়েত করার প্রশাসনিক অনুমতি মিলবে না। তা হলে কী ভাবে হবে কর্মসূচি? নবারুণ বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন অনুমতি না দিলেও আমরা কর্মসূচি করব।’’ এ ভাবে দলীয় কর্মসূচিতে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অন্যদিকে এপ্রিল থেকে মেচগ্রামের বড়মা মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে সরকারি উদ্যোগে শুরু হয় করোনা রোগীদের চিকিৎসা। প্রথম থেকেই বড়মায় রোগীদের সুস্থতার হার বেশ সন্তোষজনক। সেখানকার পরিকাঠামো দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিও। টানা পাঁচ মাস কোভিড চিকিৎসা করে এক হাজার ৩৮ জনকে সুস্থ করে তুলেছেন বড়মার চিকিৎসক, নার্সরা। হাসপাতালের সুপার ভাস্কর রায় বলেন, ‘‘গত পাঁচমাসে বড়মা থেকে এক হাজারেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছেন। খুব ভাল লাগছে।’’
সুস্থতার হাজার সংখ্যার পূর্তি উপলক্ষে বড়মা হাসপাতালের অধির্কতা আফজল শা’র উদ্যোগে এদিন এক সংবর্ধনায় হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মান জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সুপার, তমলুকের সিআই স্বরূপ বসাক প্রমুখ।
এদিন বড়মা হাসপাতাল থেকে ২৭ জন করোনা মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। তাঁদের হাতে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর পাঠানো দেওয়াল ঘড়ি উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।