প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েকদিন আগে চালু হয়েছে সমস্ত ফুল বাজার। কিন্তু বাজারে গেলে সেখান থেকে এলাকায় আসতে পারে করোনাভাইরাস— এই অভিযোগে এক চাষিকে মারধরের অভিযোগ উঠল কোলাঘাটের পুলশিটায়।
অন্যদিকে, কলকাতার ফুল বাজারে যাওয়ার জন্য ওই এলাকারই এক ব্যবসায়ীকে ঘরে ঢুকতে এবং পানীয় জল সংগ্রহে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দু’টি ঘটনাতেই কোলাঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
পুলশিটার ধর্মবেড় গ্রামের গোলাপ চাষি সৌমেন মাইতি জানান, তিনি মিহিটিকিরি গ্রামে এক ব্যবসায়ীকে ফুল দিতে যান। সোমবার সকালে ফুল দিতে যাওয়ার সময় নিমাই নায়েক নামে ওই এলাকার এক ব্যক্তি তাঁর পথ আটকে ফুলের বোঝা ছিনিয়ে নেয়। সেখান থেকে আড়াই হাজার গোলাপ ফুল রাস্তায় ফেলে দিয়ে সৌমেনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সৌমেনের অভিযোগ, গত তিনদিন ধরে দেউলিয়া বাজারে ফুল নিয়ে যাওয়ার সময় নিমাই ও তার দলবল পথ আটকে হুমকি দিচ্ছিল। তাদের দাবি, ফুল বাজারে গেলে এলাকায় করোনা ছড়িয়ে পড়বে। ঘটনায় কোলাঘাট থানায় নিমাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সৌমেন।
পুলশিটার কুমারহাট গ্রামের ফুল ব্যবসায়ী জগন্নাথ আদকও এদিন কোলাঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁর মা গীতা আদক ফুলের ব্যবসা করেন। গীতা কলকাতার মল্লিকঘাট ফুল বাজারে যান। কিন্তু এখন কলকাতায় গেলে গ্রামে করোনা ছড়িয়ে পড়বে, এই অভিযোগে তপন মল্লিক, পঞ্চু মান্না নামে দুই ব্যক্তি গীতাদের ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তেরা তাঁদের পরিবারকে সরকারি কল থেকে পানীয় জল নিতেও দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ওই ফুল ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতি’। তারা এ বিষয়ে কোলাঘাটের বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে বলে দাবি।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে কোলাঘাট থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’