Coronavirus in Midnapore

সংক্রমণ বাড়ছে গ্রামীণে, চিন্তা

সোমবার রাতে আসা আরটিপিসিআর রিপোর্টে খড়্গপুর শহরে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও স্বস্তি ফিরল না স্বাস্থ্য দফতরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২০ ০৪:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

শহর ছাড়িয়ে এ বার গ্রামীণ এলাকায় দাপট দেখাচ্ছে করোনা। শহরে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণে ফের মিলল স্বস্তি। শহরে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র পাঁচ জন। অবশ্য কম নমুনা পরীক্ষার জেরেই আক্রান্তের সংখ্যায় হ্রাস বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

Advertisement

সোমবার রাতে আসা আরটিপিসিআর রিপোর্টে খড়্গপুর শহরে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও স্বস্তি ফিরল না স্বাস্থ্য দফতরে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী রেলের এক চিকিৎসক-সহ রেলের পাঁচ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ওই মহিলা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রেল হাসপাতালের আগেই, করোনা আক্রান্ত এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সংস্পর্শে এসেছিলেন। তবে এর বাইরে আরটিপিসিআর রিপোর্টে কেউ পজ়িটিভ হননি শহরে। ঘটনায় শহরবাসী স্বস্তিতে থাকলেও নেপথ্যে রয়েছে অন্য ঘটনা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে যে নমুনা গিয়েছিল রবিবার তার পরীক্ষা হয়নি। এর জেরে শনি ও রবিবারের নমুনা এক সঙ্গে সোমবার পরীক্ষা হয়। সব মিলিয়ে দু’দিনের প্রায় ২১৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫টি অমীমাংসিত ফল পাওয়া গিয়েছে। ফলে ওই অমীমাংসিত পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলে অনেকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল বলেন, “শনি ও রবিবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে পাঠানো নমুনা একসঙ্গে সোমবার পরীক্ষা হয়েছে। এর জেরেই শহরে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে।” অবশ্য এর পরে অস্বস্তি বাড়িয়েছে, মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে সংক্রমণ ছড়ানোয় পরীক্ষা বন্ধ থাকার ঘটনা। এ দিন নমুনা পাঠাতে নিষেধ করায় সোমবার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে কোনও নমুনা পাঠানো হয়নি। এ দিন খড়্গপুরে পরীক্ষা করাতে আসা ব্যক্তিদের নমুনা নিয়ে ১২০ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “মেদিনীপুর মেডিক্যালে সংক্রমণ ছড়ানোয় আমাদের নমুনা পাঠাতে বারণ করা হয়েছিল, তাই সকলের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয়েছে। তাতে শহরের ছ’জন ও গ্রামীণের তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন।”

Advertisement

আরটিপিসিআর রিপোর্ট অনুযায়ী, খড়্গপুর মহকুমায় ৬৩ জন পজ়িটিভ হয়েছেন। তাতে সবংয়ের পাঁচ জন, দাঁতন ২ ব্লকের আট জন, মোহনপুরের তিন জন, নারায়ণগড়ের ন’জন, ডেবরার ১৭ জন, পিংলার এক জন, খড়্গপুর শহরের পাঁচ জন, দাঁতনের ১৫ জন রয়েছেন। তবে আক্রান্তদের তালিকায় ডেবরার হাসিমপুর এলাকার ১৩ জন পজ়িটিভ হওয়ার ঘটনা নজর কেড়েছে। ওই ১৩ জনের মধ্যে ১০ জন একই পরিবারের বাসিন্দা।

অন্য দিকে সবংয়ের তেমাথানিতেও একই পরিবারের পাঁচ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়াও দাঁতন থানার একসঙ্গে পাঁচ জন এনভিএফ ও এক জন হোমগার্ড আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় শোরগোল ছড়িয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement