খুশির ইদে বিধি মানা-না মানার দুই ছবি দেখা গেল জেলায়
eid

হাসপাতালের সামনেই বাজল ডিজে

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২১ ০৬:২২
Share:

অধিকাংশের মুখে মাস্ক থাকলেও তমলুকের সৈয়দপুরের ইদগাহে শুক্রবার দেখা যায়নি সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন করতে। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।

কোথাও নিয়ম মেনে ইদের নমাজ পাঠ। তো কোথাও করোনা বিধি ভেঙে জমায়েত। আবার কোনও কোনও এলাকায় হাসপাতালের সামনেই বাজল দেদার ডিজে।

Advertisement

শুক্রবার ইদ পালনে পূর্ব মেদিনীপুরে দেখা গিয়েছে মিশ্র ছবি। এই জেলার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের চারপাশে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তারস্বরে বেজেছে ডিজে বক্স। অভিযোগ, হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় কমপক্ষে ৩০টির বেশি ডিজে বক্স বাজানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই মহকুমা হাসপাতালে শতাধিক সাধারণ রোগীদের পাশাপাশি চিকিৎসা চলছে কোভিড আক্রান্তদের। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলছেন, ‘‘শব্দে আমাদেরই প্রাণওষ্ঠাগত। তো হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কী অবস্থা হচ্ছে ভাবুন। প্রতিবাদ করলেই মারধরের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’ আরেক বাসিন্দার কথায়, ‘‘হাসপাতালের শুধু এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অন্তত ১২টি ডিজে বক্স বাজছে।’’ স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকালে একাধিকবার ওই এলাকায় পুলিশ গিয়ে ডিজে বক্স বাজানো বন্ধ করার বার্তা দিয়েছে। তবে তা সাময়িক ভাবে মানা হলেও কিছুক্ষণ ফের শুরু হয়েছে শব্দ দৌরাত্ম্য।

Advertisement

এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলছনে, ‘‘স্থানীয় থানাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য দ্রুত নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।’’ কাঁথির মহকুমাশাসক আদিত্য বিক্রম মোহন হিরানিও আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘পুলিশকে এ নিয়ে বলা হয়েছে।’’

করোনা কালে ডিজে তাণ্ডবের বিষয়টি সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন কাঁথি মহকুমা মুসলিম শরাহ কমিটির সম্পাদক আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘কোনও ভাবেই এটা সমর্থন করি না। একাধিকবার এ ব্যাপারে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। আমি নিজে গিয়ে সন্ধ্যায় ডিজে বক্স বাজানো বন্ধ করে দিয়েছি।’’

বাজছে বিশালাকৃতির ডিজে বক্স। কাঁথিতে। নিজস্ব চিত্র।

কাঁথির কপালকুণ্ডলা যুব সঙ্ঘ নামে একটি ক্লাব এবার ইদে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি। ক্লাবের কর্মকর্তা আখতার আলি বলেন, ‘‘পথচলতি সাধারণ মানুষকে মুখে মাস্ক পরিয়ে দিয়েছি।’’ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ দিন সকাল থেকে কাঁথির দারুয়া, ধনদিঘি, রাজাবাজার, দেশপ্রাণ ব্লক, কাঁথি-১ ও ৩ ব্লক এবং খেজুরির একাধিক ইদগাহে নমাজ পাঠ করেন ধর্মপ্রাণ মানুষজন। অধিকাংশ জায়গায় ভিড় ছিল অন্য বছরগুলির তুলনায় একেবারেই কম। তবে, কোথাও কোথাও লোকেদের মুখে মাস্ক ছিল না। পাঁশকুড়ার মসজিদগুলিতে নমাজ পড়ার জন্য অন্য বারের তুলনায় ভিড় কম ছিল। অনেকেই বাড়িতেই নমাজ পড়েন। মসজিদগুলিতে দূরত্ব বিধি মেনে নমাজের আয়োজন করা হয়েছিল।

নিয়ম ভাঙার চূড়ান্ত ছবি দেখা গিয়েছে ভগবানপুর, পটাশপুর ও এগরা থানা এলাকায়। পটাশপুরে থানা ও হাসপাতালে ১০০ মিটার দূরে গভীর রাত পর্যন্ত বেজছে ডিজে বক্স। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ অভিযানে নামলেও রাজনৈতিক চাপে পিছু হঠতে বাধ্য হয়। আ সেই সুযোগে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ালো মাস্কহীন যুবক-যুবতীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement