Coronavirus in Midnapore

করোনা উপসর্গ, রোগীর মৃত্যুতে ক্ষোভ হাসপাতালে

বেউদিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রিয়ব্রত চন্দ্র জানান, করোনা সংক্রমণ সন্দেহে প্রশাসনকে মৃতদেহের প্রয়োজনীয় পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভগবানপুর শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২০ ০২:২৫
Share:

বিক্ষোভ সামলাতে এল পুলিশ। সোমবার ভগবানপুরে। নিজস্ব চিত্র

জ্বর ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে আসা এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসার গাফিলতি ও করোনা সংক্রমণের সন্দেহে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাল রোগীর পরিবার। হাসপাতাল লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল ইট। মৃত যুবকের নাম গোপাল সিংহ(৩২)। সোমবার সকালে ভগবানপুর গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর ভগবানপুর-১ ব্লকের বেউদিয়া পঞ্চায়েতের কুড়ালবার গ্রামের গোপাল সিংহ এলাকায় চোলাইয়ের ব্যবসা করতো। লকডাউন পরিস্থিতিতে চোলাই কারবারের কারণে সে বিভিন্ন এলাকার ঘুরেছে। গত শনিবার সকালে তার হাল্কা জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দেয়। নিয়মমতো এলাকার আশাকর্মীরা ওই দিন সকালে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে কেউ অসুস্থ কিনা খোঁজ নিচ্ছিলেন। তাঁদের দাবি, পরিবারের লোকেরা গোপালের অসুস্থতার বিষয়টি লুকিয়ে রাখে। ওই দিন রাতে যুবকের অসুস্থতা বাড়লে গ্রামের এক হাতুড়ের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার রাত থেকে ফের গোপালের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বাড়ে। ওই হাতুড়ে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পরামর্শ দেন।

সোমবার সকালে পরিবারের লোকেরা অসুস্থ গোপালকে টোটো করে ভগবানপুর-১ ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শুরুর আগে কয়েক মিনিটের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। এর পর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ও করোনা সংক্রমণের অভিযোগ তুলে মৃতার পরিজন ও স্থানীয়রা হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করে। অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন হাসপাতালে ইট-পাটকেল ছোড়ে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত উপসর্গে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় করোনা সংক্রমণ সন্দেহে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে যুবকের পরিবার এবং তার সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। আপাতত স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে মৃতের পরিবারকে হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে কুড়ালবাড় গ্রামের মানুষ।

Advertisement

বেউদিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রিয়ব্রত চন্দ্র জানান, করোনা সংক্রমণ সন্দেহে প্রশাসনকে মৃতদেহের প্রয়োজনীয় পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িতে গেলেও যুবকের অসুস্থতা পরিবারের লোকেরা গোপন রেখেছিল। হাসপাতালে রোগীকে আনা হলেও প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ পাননি চিকিৎসকেরা। মৃতের করোনা সংক্রমণ নিয়ে সন্দেহের প্রক্ষিতে তার পরিবারের লোকজনের লালা রসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement