—ফাইল চিত্র।
কালেক্টরেটে এসে জেলাশাসক রশ্মি কমলের দেখা না পেয়ে ফিরে গেলেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সোমবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দফতরে এসেছিলেন দিলীপ। দফতর থেকে তাঁকে জানানো হয়, জেলাশাসক একটি বৈঠকে ব্যস্ত রয়েছেন। তিনি অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। দিলীপ অবশ্য অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা না করেই কালেক্টরেট ছাড়েন। দিলীপের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়, দলের জেলা সভাপতি শমিত দাশ প্রমুখ। জেলাশাসক তাঁর সঙ্গে ইচ্ছে করেই দেখা করেননি বলে দাবি মেদিনীপুরের সাংসদের।
দিলীপ বলেন, ‘‘আমি আগেই জেলাশাসকের কাছে আমার প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলাম। বলেছিলাম, করোনা মোকাবিলায় কী কী সামগ্রী লাগবে জানাতে। কত কী লাগবে জানাতে। সে সব আনাতে আমি আমার সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দেব। কিন্তু কোনও সামগ্রীর তালিকা দেওয়া হয়নি।’’
মেদিনীপুরের সাংসদের দাবি, তিনি এদিন মেদিনীপুরে ত্রাণ বিলি করতে চেয়েছিলেন। পুলিশ সুপার অনুমতি দেননি। দিলীপের কথায়, ‘‘আমার এদিন মেদিনীপুরে দু’জায়গায় ত্রাণ দেওয়ার কথা ছিল। এখানকার পুলিশ সুপার বলেছেন, দিলীপবাবু কিছু দিতে পারবেন না।’’ মেদিনীপুরের সাংসদ কি ত্রাণ বিলির অনুমতি চেয়েছিলেন? জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারের দাবি, ‘‘এমন কিছু জানা নেই।’’
পুলিশের অনুমতি না মেলায় শহরে ত্রাণও বিলি করা যায়নি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুপুরেই মেদিনীপুর ছাড়েন দিলীপ। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘পুলিশ, প্রশাসন মানুষের কষ্ট বোঝার চেষ্টা করছে না। রাজ্য সরকারও মানুষের কষ্ট না বুঝে শুধু রাজনীতি করছে!’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)