Coronavirus in West Bengal

মায়েদের স্বাস্থ্যে নজর

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

এ রাজ্যেও একাধিক প্রসূতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সন্তান প্রসবের পর এক মহিলার করোনা ধরা পড়ে। তার জেরে বন্ধ রাখতে হয় মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগ। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ বেশ কয়েকজনকে কোয়রান্টিনে পাঠাতে হয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে।

Advertisement

সব দিক খতিয়ে দেখে রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন থেকে অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতিদের চিকিৎসায় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জেলায় জেলায়। অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতির করোনার উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, ‘‘রাজ্যের নির্দেশিকা পেয়েছি। প্রসূতিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক যে ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হচ্ছে।’’ সূত্রের খবর, জেলার স্বাস্থ্যভবন থেকে ইতিমধ্যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে ব্লকে ব্লকে।

লকডাউনে অন্তঃসত্ত্বা ও প্রসূতিরাও গৃহবন্দি। অন্তঃসত্ত্বা, সদ্য প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের স্বাস্থ্যের নজরদারি ও সহায়তার গুরুদায়িত্ব পালন করেন এনএনএম, আশাকর্মীরা। এঁরা ‘কমিউনিটি ওয়ার্কার’-এর কাজ করেন। অর্থাৎ, এলাকাতেই এঁদের কাজ করতে হয়। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, নিয়মবিধি মেনে এনএনএম, আশাকর্মীদের অন্তঃসত্ত্বাদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখতে হবে। হবু ও সদ্য মায়েরাও যাতে ফোনে যোগাযোগ রাখেন, সে ব্যাপারে উৎসাহ দিতে হবে। প্রসবের সময় হয়ে এলে নিশ্চয়যানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিতে হবে। করোনার উপসর্গ থাকলে অন্তঃসত্ত্বাকে সেই হাসপাতালে পাঠাতে হবে যেখানে পৃথক আইসোলেশন রুম বা ডেলিভারি রুম রয়েছে। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানাচ্ছেন, এ ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বাকে সেকেন্ডারি কিংবা টার্শিয়ারি লেভেল ডেলিভারি পয়েন্টে পাঠানোর নির্দেশ রয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল-সহ জেলার কয়েকটি হাসপাতাল এই স্তরের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement