আইওসি-তে করোনা ছায়া 

ভিন্‌ রাজ্য এবং জেলা থেকে হলদিয়ার ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনে (আইওসি) মেরামতির কাজ করতে এসেছিল সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলের একজনের শরীরের মিলল করোনাভাইরাস। যার জেরে ‘সিল’ করে দেওয়া হল আইওসি’র হাসপাতালের একাংশ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২০ ০১:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভিন্‌ রাজ্য এবং জেলা থেকে হলদিয়ার ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনে (আইওসি) মেরামতির কাজ করতে এসেছিল সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ওই দলের একজনের শরীরের মিলল করোনাভাইরাস। যার জেরে ‘সিল’ করে দেওয়া হল আইওসি’র হাসপাতালের একাংশ।

Advertisement

কারখানা সূত্রের খবর, আইওসি’র একটি নতুন ইউনিটে কম্প্রেসারে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেটি মেরামতির জন্য সাত জনের একটি প্রতিনিধি দল হলদিয়ায় আসে। ওই দলে ছিলেন হায়দরাবাদে পাঁচ জন, বর্ধমানের এক জন এবং নন্দীগ্রাম এক বাসিন্দা। গত ১০ জুন কলকাতায় পৌঁছন তাঁরা। ভিন্‌ রাজ্য এবং জেলা থেকে আসায় কারখানার উদ্যোগে ওই দিনই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সাত জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিকেলে হলদিয়া আসেন প্রতিনিধিরা। সেখানে আবার আইওসি’র হাসপাতালে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

১১ জুন ওই সাতজনের লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। ছ’জনের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও বর্ধমান থেকে আসা ব্যক্তির করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাঁকে পাঁশকুড়ার বড়মা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকিদের নিভৃতাবাসে রাখা হয়েছে। এর পরেই এ দিন আইওসি’র হাসপাতালের একাংশ ‘সিল’ করে দেওয়া হয়। ওই সমস্ত অংশ ৪৮ ঘণ্টা পর স্যানিটাইজ় করে ফের খোলা হবে। হাসপাতালের যে তিনজন চিকিৎসক ওই সাত জনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিলেন, তাঁদের এবং দুই গাড়ির চালককে তাঁদের ১৪ দিনের জন্য গৃহ নিভৃতাবাসে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

করোনা ছায়ায় কারখানার কাজে প্রভাব পড়েনি বলে খবর। আইওসি’র জিএমএইচআর এস এন ঝাঁ বলেন, ‘‘বাইরে থেকে যে প্রতিনিধিদল এসেছিলেন, তাঁদের সবাইকে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাডেমিতে আলাদা করে রেখেছিলেন। নমুনা পরীক্ষার ফল পজ়িটিভ আসার পরেই তাঁর সংস্পর্শের পাঁচজনকে নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের তিন চিকিৎসক এবং দুই গাড়ি চালককে গৃহ পর্যবেক্ষণে পাঠানো হয়েছে।’’

আক্রান্ত এলাকায় বেরিয়েছিলেন কি না, সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন টাউনশিপের বাসিন্দারা। স্থানীয় রবি সামন্ত বলেন, ‘‘আক্রান্ত ব্যক্তি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন জানি না। চিন্তা থাকছেই।’’ যদিও হলদিয়া রিফাইনারির দাবি, প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা অন্য কোথাও ঘোরাফেরা করেননি। তাঁদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement