ছোট ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে উঠে এসেছে নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে অশান্তির প্রসঙ্গ। প্রতীকী চিত্র।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের ছেলের। তাঁর নাম তিলক পয়ড়্যা (৩৭)। তিনি কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের দারিয়াপুরের বাসিন্দা। পেশায় প্রাইমারি শিক্ষক তিলকের বাবা বলাই লাল পয়ড়্যা দারিয়াপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও এলাকার তৃণমূল নেতা।
পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিলক। তাঁর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। তাঁকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বলাই অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। তাঁর বড় ছেলেও স্কুল শিক্ষক ছিলেন। কিছুদিন আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি মারা যান। যদিও, ছোট ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে উঠে এসেছে নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে অশান্তির প্রসঙ্গ। বলাই বলছেন, ‘‘বৌমা-সহ কয়েক জন ঘনিষ্টের চাকরির জন্য ছোট ছেলে ৩০ লাখ টাকা নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের অধ্যক্ষকে দিয়েছিল। কিন্তু কারও চাকরি হয়নি। কলেজের অধ্যক্ষও টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। তারপর থেকে মানসিক চাপে ছিল তিলক।’’
যদিও নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের অধ্যক্ষ শামু মাহালি দাবি করেন, ‘‘টাকা নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা।’’ এ দিন তিলকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়ে কাঁথি থানায় জানানো হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। যদিও, সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রেজানা গিয়েছে।