Humayun kabir

গদিআঁটা চেয়ার কেড়ে এসডিও, বিডিওকে কাঠের চেয়ারে বসতে দেওয়া হোক! বললেন তৃণমূল বিধায়ক

এসডিও এবং বিডিওদের এমন প্রবণতা নিয়ে ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করে জেলাশাসকের কাছে তাঁদের ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে এলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডেবরা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৪৯
Share:

হুমায়ুন কবীর। নিজস্ব চিত্র।

এলাকায় অনেক সরকারি কাজ পড়ে রয়েছে। কিন্তু মহকুমাশাসক (এসডিও) বা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও)-রা নিজেদের দফতর ছেড়েই বেরোন না। কোনও কাজ বাকি আছে কি নেই, সে ব্যাপারে তাঁদের কোনও ধারণাই নেই। এসডিও এবং বিডিওদের এমন প্রবণতা নিয়ে ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করে জেলাশাসকের কাছে তাঁদের ‘উচিত শিক্ষা’ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে এলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিধায়কের পরামর্শ, এ়সডিও এবং বিডিওদের মোটা গদির চেয়ার কেড়ে নেওয়া হোক। পরিবর্তে তাঁদের বসতে দেওয়া হোক কাঠের চেয়ারে। যাতে তাঁরা বাধ্য হয়ে বাইরে বেরোন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছে বিজেপি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ডেবরা অডিটোরিয়াম হলে জেলাশাসক আয়েশা রানির সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন হুমায়ুন। সেখানে হাজির ছিলেন ব্লক ও অঞ্চল স্তরের সরকারি আধিকারিকেরাও। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক বলেন, ‘‘এলাকার বহু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সেই সব নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কোন কাজ আগে করতে হবে, সেই সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ছিল।’’ এই বৈঠকেই এসডিও এবং বিডিওদের কাজ নিয়ে জেলাশাসকের কাছে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বলে নিজেই জানান হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘‘এসডিও আর বিডিও তো নিজেদের অফিস থেকেই বেরোন না। আমি জেলাশাসককে বলেছি, ওঁদের মোটা মোটা গদিওয়ালা চেয়ার সরিয়ে কাঠের চেয়ার দিতে। যাতে ওঁদের বসতে অসুবিধে হয়। বাধ্য হয়েই যাতে ওঁরা বাইরে বেরোতে পারেন।’’

এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হুমায়ুনকে কটাক্ষ করে বিজেপি ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘‘পড়াশোনা করে ওঁরা চেয়ারে বসেছেন। ওঁরা নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবেন, এটাই চাইব। তবে তৃণমূলের নেতারা সম্মান করতে জানেন না। বিজেপি কোনও ভাবেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের এ ভাবে বলতে পারবে না। ধিক্কার জানাচ্ছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement