রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তুষার গান্ধী। ছবি পিটিআই।
এ বার কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিলেন মহাত্মা গান্ধীর নাতি তুষার গান্ধী। শুক্রবার সকালে মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলার শেগাঁও থেকে এই পদযাত্রায় পা মেলান তিনি। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাঁর সঙ্গেই হাঁটতে দেখা যায় তুষারকে।
এখন কংগ্রেসের এই যাত্রা মহারাষ্ট্রের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ নভেম্বর মহারাষ্ট্রে এই পদযাত্রা শুরু হয়। শুক্রবার সকাল ৬টা নাগাদ শেগাঁও থেকে ফের যাত্রা শুরু করেন রাহুল এবং কংগ্রেসের অন্য কর্মী সমর্থকরা। পদযাত্রা কিছুটা এগোলে যোগ দেন তুষার।
লেখক এবং সমাজকর্মী হিসাবে পরিচিত তুষার বৃহস্পতিবার টুইট করে জানিয়েছিলেন যে, তিনি শেগাঁও থেকে ভারত জোড়া যাত্রায় পা মেলাবেন। তাঁর ঠাকুরদার সঙ্গে জওহরলাল নেহরুর একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি। তারও আগে গত মঙ্গলবার তিনি টুইট করে লিখেছিলেন, “১৮ নভেম্বর আমি আমার জন্মস্থান শেগাঁও থেকে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগদান করতে চলেছি।’’ নিজের জন্মবৃত্তান্তের বর্ণনা করে জানান, ১৯৬০ সালের ১৭ জানুয়ারি হাওড়ামুখী একটি দূরপাল্লার ট্রেনে ছিলেন তাঁর মা। ট্রেনটি যখন শেগাঁও স্টেশনে পৌঁছয়, তখন তিনি জন্মান।
ভারত জোড়ো যাত্রায় তুষারের যোগ দেওয়াকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস। দলের তরফে বলা হচ্ছে, জওহরলাল নেহরু এবং মহাত্মা গান্ধীর উত্তরসূরিরা দুই নেতার উত্তরাধিকার বহন করছেন। কংগ্রেসের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, “রাহুল গান্ধী এবং তুষার গান্ধীর একসঙ্গে হেঁটে চলা শাসককে এই বার্তাই দিচ্ছে যে, তারা গণতন্ত্রকে বিপন্ন করতে পারে, কিন্তু শেষ করতে পারে না।”
তবে শুক্রবার শুধু তুষারই নন, রাহুলের সঙ্গে পদযাত্রায় হাঁটতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিক, দীপেন্দ্র হুডা, মিলিন্দ দেওরা, মানিকরাও ঠাকরে প্রমুখ নেতাকে। প্রসঙ্গত, বুধবারই রাহুলের সঙ্গে পদযাত্রায় পা মিলিয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা মুনমুন সেনের মেয়ে রিয়া সেন।