চারা লাগাবেন ঠিকাদারেরাও

শর্ত রাখা হয়েছে, রাস্তা নির্মাণের বরাত পাওয়া ঠিকাদারকে রাস্তায় দু’পাশে নির্দিষ্ট সংখ্যক চারাগাছ রোপণ করতে হবে। 

Advertisement

বিশ্বসিন্ধু দে

কেশিয়াড়ি শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০১
Share:

গাছের যত্নে ঘেরাটোপ। নিজস্ব চিত্র

বিশ্ব-বাণিজ্যের দুনিয়ায় একটি অলিখিত নিয়ম রয়েছে! মোটা অঙ্কের বাণিজ্যের বরাত পেলে, বরাত অঙ্কের একটা অংশ সমাজসেবামূলক কাজে ব্যয় করে বহুজাতিক সংস্থাগুলি। খানিকটা সেই পথেই ঠিকাদারদের কাছে গাছ লাগানোর আবেদন রাখছে কেশিয়াড়ি ব্লক প্রশাসন। শর্ত রাখা হয়েছে, রাস্তা নির্মাণের বরাত পাওয়া ঠিকাদারকে রাস্তায় দু’পাশে নির্দিষ্ট সংখ্যক চারাগাছ রোপণ করতে হবে।

Advertisement

বেলদা-কেশিয়াড়ি রাজ্য সড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার অংশে রাস্তার দু’পাশ একেবারেই ফাঁকা। সড়ক সম্প্রসারণে প্রয়োজনে দু’পাশের ছোট-বড় বহু গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল। নারায়ণগড় এবং কেশিয়াড়ির ব্লক প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিলেও দেড়বছর পরও গাছ লাগানো হয়নি। এ বার বর্ষার শুরুতে বেলদা মূর্তি সংরক্ষণ কমিটি এবং নারায়ণগড় ব্লক প্রশাসন যে গাছ লাগানোর কথা বলেছিল তা-ও হয়নি! তবে কেশিয়াড়ি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে সম্প্রতি গাছ লাগানো হচ্ছে।

কেশিয়াড়ি ব্লক প্রশাসনের তরফে খানিকটা ‘কর্পোরেট’ ঢঙেই সরকারি কাজের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের কাছে চারা রোপণের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনেই সাড়া দিয়েছে ঠিকাদার সংস্থাগুলি। আপাতত রাজ্য সড়কের নির্দিষ্ট অংশে গাছ রোপণ করছে বরাত প্রাপ্ত ২০টি ঠিকাদার সংস্থা। এমনকি, গরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষা করতে, চারাগুলির চারপাশে লোহার বেড়াও দেওয়া হয়েছে। বিডিও সৌগত রায় বলেন, ‘‘এক লক্ষ টাকা টেন্ডার পিছু দু’টি করে মেহগনি গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়া হয়েছিল। শর্ত অনুযায়ী ঠিকাদাররা সেই গাছ রাজ্য সড়কের দু’ধারে লাগানো শুরু করেছেন।’’ আপাতত লাগানো হচ্ছে সেগুণ, মেহগনি, বকুল, কৃষ্ণচূড়ার মতো গাছগুলি।

Advertisement

এমন সিদ্ধান্তে খুশি এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, যত বেশি সংখ্যায় গাছ লাগানো হোক! সড়ক নির্মাণের ঠিকাদার শতরূপ দে বলেন, ‘‘কর্তব্য মনে করেই গাছগুলি লাগাচ্ছি। সরকারের আমরা যতজন ঠিকাদার রয়েছি, সকলে মিলে পুরো রাস্তার দু’ধারে গাছ লাগানোর চেষ্টা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement