Rupashree Scheme

দুই সন্তানের জননীও রূপশ্রী! ধরিয়ে দিল ছবি

রূপশ্রী প্রকল্পে রাজ্য সরকার মেয়ের বিয়ের জন্য এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেয়। ২০১৮ সালে চালু হওয়া এই প্রকল্পে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের অবিবাহিত মেয়েদের প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রেই এই টাকা দেয় সরকার।

Advertisement

রূপশঙ্কর ভট্টাচার্য

গড়বেতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪ ০৮:০০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বিবাহিত। দুই সন্তানের জননীও। তারপরেও আবেদন করা হয়েছিল রূপশ্রী প্রকল্পে। শেষমেশ তা ধরিয়ে দিয়েছে ছবি। বাতিল করা হয়েছে দুটি ভুয়ো আবেদনপত্র। গড়বেতা ১ ব্লকের এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।

Advertisement

রূপশ্রী প্রকল্পে রাজ্য সরকার মেয়ের বিয়ের জন্য এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেয়। ২০১৮ সালে চালু হওয়া এই প্রকল্পে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের অবিবাহিত মেয়েদের প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রেই এই টাকা দেয় সরকার। আবেদনের সময় মেয়ের বয়স ১৮ ও পাত্রের বয়স ২১ হওয়া বাধ্যতামূলক, দু’জনের ছবিও লাগে।

এই প্রকল্পে সারা বছরই প্রচুর আবেদনপত্র জমা পড়ে বিডিও অফিসে। সাধারণত মেয়ের বিয়ের দু’মাস আগে নির্দিষ্ট ফর্মে, নথিপত্র দিয়ে, স্বঘোষণাপত্র লিখে আবেদন করতে হয়। তারপর চলে তথ্য যাচাই। বিডিও অফিসের ভারপ্রাপ্ত বিভাগ ও পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা খুঁটিয়ে তথ্য দেখেন, আবেদনকারীর বাড়িতে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেন। পাত্রেরও খবর নেন। প্রয়োজনে আশেপাশের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সব ঠিকঠাক থাকলে তবেই টাকা দেওয়ার অনুমতি মেলে। বিয়ের দিন আবেদনকারী মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে ২৫ হাজার টাকা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে গড়বেতা ১ ব্লকে রূপশ্রী প্রকল্পের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে খড়কুশমা অঞ্চলের দু’টি আবেদনপত্রের ছবি নিয়ে সন্দেহ বাড়ে। একজনের পাত্রের সঙ্গে আবেদনকারী মেয়ের ছবি নিয়ে সন্দেহ বাড়ে। অন্যজনের ছবিতে দেখা যায় আবেদনকারী মেয়ের গলায় বিয়ের মঙ্গলসূত্র। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৮ বছর হলেও দু’জনই বিবাহিত। তথ্য গোপন করে তাঁরা আবেদন করেছেন। ব্লক থেকে বাড়িতে লোক পাঠানো হয়। চোখ কপালে ওঠে ব্লকের প্রতিনিধির। এক আবেদনকারী বিবাহিত তো বটেই, আবার দুই সন্তানের জননী। অন্যজন যে বিবাহিত, তা বাড়ির লোকই জানান।

বাতিল করা হয়েছে দু’টি আবেদনপত্রই। বিডিও রামজীবন হাঁসদা কিছু বলতে চাননি। তবে ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘রূপশ্রী প্রকল্পে দুই বিবাহিত মেয়ের আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। খতিয়ে দেখে সেগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।’’ খড়কুশমা অঞ্চল দেখভাল করা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ অসীম সিংহও মানছেন, ‘‘বিয়ের পরও রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করা হয়েছিল। সেগুলি বাতিল করা হয়। যে কোনও প্রকল্পের সুবিধা নিতে হলে তথ্য গোপন করা ঠিক নয়।’’

কেন এই প্রচেষ্টা, সেই প্রশ্ন উঠছে। ইচ্ছাকৃত না, বোঝার ঘাটতিতে না কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই আবেদন করা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পঞ্চায়েতের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement