টোটোয় ব্যালট বাক্স বহন নিয়েই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
শ্যামসুন্দরপুর পাটনা সমবায় নির্বাচনের ভোটের ফল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। রাজ্য কো-অপারেটিভ নির্বাচন কমিশনারকে সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এই আবহে এ বার ওই সমবায় ভোটের ব্যালট পাচারের অভিযোগ তুললেন এক প্রার্থী। অভিযোগ করা হয়েছে প্রশাসনের কাছে।
গত ৫ মার্চ মাইশোরার শ্যামসুন্দর পাটনা সমবায়ে নির্বাচন হয়। ওইদিনই হয় ভোট গণনা। ৯ আসন যুক্ত ওই সমবায়ের সব আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী। ব্লক সভাপতি সুজিত রায় এবং মাইশোরার উপপ্রধান স্বপন খাঁড়ার প্রার্থীরা ৪টি করে আসনে জয় পান। রাধাবল্লভপুর আসনটি ড্র হয়ে যাওয়ায় লটারি করা হয়। লটারিতে সুজিত রায়ের প্যানেলের প্রার্থী তপন দোলই জয়ী হন।লটারিতে হেরে যান তৃণমূল উপপ্রধান স্বপন খাঁড়ার প্যানেলের প্রার্থী স্বপন দোলই। লটারির মাধ্যমে একটি আসন জিতে বোর্ড গঠনের অধিকার পায় ব্লক সভাপতির প্যানেল। হাতের ছাপ দিয়ে ভোট দেওয়া ব্যালট বাতিল করে দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন স্বপন দোলই। গত বুধবার কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্য কো-অপারেটিভ ইলেকশন কমিশনারকে শুনানি করে অভিযোগের জবাব দিতে বলে। এদিন সকালে শ্যামসুন্দরপুর পাটনা সমবায় থেকে টোটোতে করে বেশ কিছু ব্যালট বাক্স নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বাক্সগুলি ৫ মার্চ ওই সমবায় ভোটে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি।
স্বপনের অভিযোগ, শ্যামসুন্দরপুর পাটনা সমবায়ের নির্বাচনের ব্যালটগুলি কে বা কারা সরিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। রাজ্য কো-অপারেটিভ নির্বাচন কমিশনারের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কী ভাবে ব্যালটগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এ বিষয়ে পাঁশকুড়া থানার আইসি, জেলা পুলিশ সুপার এবং সমবায় দফতরের আধিকারিককে অভিযোগ জানিয়েছেন স্বপন। মাইশোরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান স্বপন খাঁড়া বলেন, ‘‘হাই কোর্টে এখনও এই সমবায়ের ভোট নিয়ে অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি। এরই মাঝে রবিবার ছুটির দিনে কী ভাবে কোনও অফিসার ছাড়া ব্যালট বাক্সগুলি নিয়ে যাওয়া হল? আমাদের আশঙ্কা ওই বাক্সগুলির মধ্যে ভোটের ব্যালট রয়েছে। কে বা কারা চক্রান্ত করে ব্যালটের হিসেব গোলমাল করে দিতে চাইছে। বিষয়টি আমরা কলকাতা হাই কোর্টে জানাব।’’
যদিও শ্যামসুন্দরপুর পাটনা সমবায়ের ম্যানেজার শান্তনু মাইতি বলেন, ‘‘সামনেই জশোড়া সমবায় সমিতির নির্বাচন। ওই বাক্সগুলিতে ফাঁকা ব্যালট পাঠানো হচ্ছিল। শ্যামসুন্দরপুর পাটনা সমবায়ের নির্বাচনের ব্যালটগুলি লকারে রাখা আছে।’’