আবর্জনায় ভরাট হচ্ছে রেলের পুকুর।
সৌন্দর্যায়নের জন্য চার বছর আগে পাঁশকুড়ায় রেলের পুকুরের এক দিক লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। কিন্তু সেই কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। এ বার রেলের সেই রেলিং ভেঙে দিয়ে পুকুরের মধ্যে ফেলা হচ্ছে শহরের আবর্জনা। ক্রমশ ভরাট হচ্ছে পুকুর।অভিযোগ, উদাসীন রেল কর্তৃপক্ষ।
পাঁশকুড়া পুর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁশকুড়া জিআরপি থানার পেছনে রেলের একটি পুকুর রয়েছে।পুকুরটি আকারে বেশ বড়। দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই পুকুরে আবর্জনা ফেলে আসছে বলে অভিযোগ। পুকুরে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে ২০১৯ সালে পুকুরের পাড় বরাবর রেল লোহার রেলিং তুলে দেয়। পুকুরকে কেন্দ্র করে সৌন্দর্যায়নের একগুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হয়। ঠিক হয়, পুকুরের পাড় বরাবর বসার জায়গা, বাগান তৈরি করা হবে। বসানো হবে পথবাতি। কিন্তু লোহার রেলিং তৈরি করার পর আর কাজ এগোয়নি। আগাছা এবং কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে গোটা পুকুর। লোহার রেলিংয়ের একাংশ ভেঙে দিয়ে পুকুরের মধ্যে আবর্জনা ফেলছেন স্থানীয়দের একাংশ।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ। এ বিষয়ে রেলের পাঁশকুড়া ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ভাস্কর সোনবীর বলেন,"ওই পুকুর ভরাট করে রানিং রুম তৈরি করা হবে।" কিন্তু পরিবেশ আইন অনুযায়ী, কোনও পুকুর তো এখন ভরাট করা যায় না। তা হলে এ ক্ষেত্রে রেল কী করে তা করবে? এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান ভাস্কর সোনবীর। পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন নন্দকুমার মিশ্র বলেন,"পুকুরে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে পদক্ষেপ করা হবে।"