June Malia

জুনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা, কড়া বার্তা জেলা সভাপতিকে, বলে দিলেন ভোটে জেতার উপায়ও

শনিবার শালবনিতে জেলার ‘অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীকোন্দল’ নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা। তৃণমূলের অন্দরের খবর, জুনের সঙ্গে বিবাদ চলছে সুজয়ের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শালবনি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ২৩:৪৫
Share:

অভিনেত্রী-বিধায়ক জুন মালিয়া এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

প্রকাশ্যে অভিনেত্রী-বিধায়ক জুন মালিয়াকে নিয়ে মন্তব্য করায় রাজ্যের ত্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোকে ভর্ৎসনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার ধমক খেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। শালবনির সভামঞ্চ থেকে মমতার হুঁশিয়ারি, ‘‘আমাকে বাধ্য কোরো না ব্যবস্থা নিতে।’’ ‘নবজোয়ারের’ সভামঞ্চ থেকে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলনেত্রী মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অন্দরের ‘ঝগড়া’ মিটিয়ে ফেলতে পারলে তৃণমূলকে কেউ হারাতে পারবে না!

Advertisement

শনিবার শালবনিতে জেলার ‘অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীকোন্দল’ নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা। তৃণমূলের অন্দরের খবর, জুনের সঙ্গে বিবাদ চলছে সুজয়ের। জেলা সভাপতির সঙ্গে বিবাদ বেধেছে কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহারও। তার প্রেক্ষিতে মমতা বলেন, ‘‘জুন এলাকায় ঘোরে। ও আমাদের সাংস্কৃতিক সেলে রয়েছে। সুজয় তুমি জুনের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করবে। আর যদি না করো... আমাকে বাধ্য কোরো না ব্যবস্থা নিতে।’’

সুজয়কে শিউলির সঙ্গে বিবাদ মেটানোরও নির্দেশ দেন দলনেত্রী। মমতা জানান, প্রাক্তন জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকেও ‘কোণঠাসা’ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘অজিত মাইতি অনেক পুরনো নেতা। দলে আমার সহকর্মী। কেউ কেউ অজিতকে পাত্তা দিচ্ছে না। এটা ঠিক হচ্ছে না। তবে অজিতেরও স্বভাব রয়েছে গ্রুপিজম করার। এগুলো বন্ধ করো। সবাই তোমাকে মানবে।’’ ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি কুড়মিদের আন্দোলন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অজিত। তার জন্য তাঁকে ধমকও দিয়েছিলেন মমতা।

Advertisement

রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘মানস ভুইঞাঁ কোথায়? আরে মানসদা শুধু সবং করলে চলবে? শুধু সবংয়েই হাসপাতাল হবে, সবংয়েই স্ট্যাচু বসবে, সবংয়েই স্যুইমিং পুল হবে… এ রকম করলে চলবে না। মাদুরকাঠির ক্লাস্টার সবং-পিংলা ও ডেবরার মাঝে করতে হবে, যাতে গোটা এলাকার মানুষ সুবিধা পায়।’’

শেষে মমতা স্পষ্ট বলেন, ‘‘একটা কথা ভাল করে শোনো। তৃণমূল যদি ঝগড়া না করে, তা হলে তৃণমূলকে কেউ হারাতে পারবে না। তাই ঝগড়া বন্ধ করো। সবাই মিলেমিশে কাজ করো। আমি কলকাতায় থাকলেও সব খবর কিন্তু আমার কাছে থাকে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement