নাড়াজোল রাজ কলেজে ঢোকার চেষ্টা এবিভিপি সমর্থকদের। নিজস্ব চিত্র
আগে থেকেই ঠিক ছিল যে সোমবার নাড়াজোলে সভা করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এ দিনই এবিভিপি-টিএমসিপি সংঘর্ষে তেতে উঠল নাড়াজোল রাজ কলেজ। আহত হলেন দু’পক্ষের সাত জন। ক্যাম্পাসে সংগঠনের পতাকা টাঙিয়ে ছাত্র সংসদের অফিস ভাঙচুর করে সেখানে তালাও ঝুলিয়ে দিল এবিভিপি সমর্থকেরা।
কলেজ কর্তৃপক্ষের ডাকে পুলিশ আসে। এবিভিপির অভিযোগ, পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ মানেনি। গোলমালের জেরে ব্যহত হয় পঠনপাঠন। কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম পড়ুয়া বলেন, ‘‘কলেজে একটা গোলমাল হয়েছে। পুলিশকে সব ঘটনা জানানো হয়েছে।’’
দিলীপ ঘোষের সভার জন্য এ দিন সকাল থেকেই ওই এলাকায় বিজেপি নেতা-কর্মীর ভিড় ছিল। কলেজ সূত্রে খবর, আগে থেকেই কলেজ অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল এবিভিপি। কলেজ খুলতেই গেরুয়া ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। টিএমসিপি সমর্থকেরা কলেজে ঢোকার পরেই গোলমাল শুরু হয়। দুই ছাত্র সংগঠনের সমর্থকদের হাতেই লাঠি দেখা গিয়েছে।
এ দিন সাড়ে ১২টা নাগাদ কলেজের সামনে এসে দাঁড়ায় দিলীপ ঘোষের গাড়ি। ভেতরে তখন গোলমাল চলছে। আরএসএসের ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের অনুরোধে কলেজের সামনে দাঁড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁদের মুখে কলেজের ঘটনা শুনে পুষ্পস্তবক নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। পরে দিলীপকে নাড়াজোল কলেজের গোলমাল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর দাবি, ‘‘আমার সঙ্গে কলেজে গোলমালের কোনও যোগসূত্র নেই। কলেজের ছেলেরা আমার গাড়ি থামিয়ে মালা পরিয়েছে। তাই পুলিশ ওঁদের মেরেছে।’’ এবিভিপির জেলা সভাপতি স্বরূপ মাইতির দাবি, ‘‘আমাদের সংগঠন কতটা মজবুত সেটা টিএমসিপি আজ টের পেয়েছে। এরপর আমাদের সংগঠনের কাজে বাধা দিতে হলে আমাদের সমর্থকরা ছেড়ে কথা বলবে না।’’
নাড়াজোল রাজ কলেজ ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরেই টিএমসিপির দাপট রয়েছে। লোকসভা ভোটের পরেও ওই কলেজে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনে তেমন চিড় ধরেনি। টিএমসিপির জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘এ দিন আগাম পরিকল্পনা করেই বাইরের লোকজন নিয়ে কলেজে হামলা চালিয়েছে এবিভিপি। আমাদের সমর্থক তিন জন পড়ুয়া-সহ চার জন জখম হয়েছে।’’