প্রতীকী ছবি।
এবিভিপি সদস্য এক পড়ুয়াকে জখম করার অভিযোগে বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তেজনা ছড়াল মানিকপাড়ার বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় চত্বরে। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এবিভিপির সমর্থকেরা। কলেজের অধ্যক্ষাকেও কিছুক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে কলেজে যান এসডিপিও (ঝাড়গ্রাম) অনিন্দ্যসুন্দর ভট্টাচার্য।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কলেজে প্রথম সেমিস্টারের রেজিস্ট্রেশন ও অনগ্রসর পড়ুয়াদের স্টাইপেন্ডের ফর্ম ভেরিফিকেশন হচ্ছিল। পড়ুয়াদের সহযোগিতা করছিলেন টিএমসিপি-র সদস্যরা। নেতৃত্বে ছিলেন জেলা টিএমসিপির সহ-সভাপতি শেখ নজরুল। নজরুল ওই কলেজেরই দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পড়ুয়াদের এই নিয়েই শুরু হয় গোলমাল। এবিভিপি-র সদস্য সন্দীপ মাহাতো নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া জখম হন। পুলিশ এসে এবিভিপির সদস্যদের কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার পরে তারা কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে। স্থানীয় এবিভিপি নেতা বাপি দাস বলেন, ‘‘পুলিশ কী পদক্ষেপ করে আমরা অপেক্ষায় আছি। না হলে পথে নামা হবে।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল বলেন, ‘‘আমরা পড়ুয়াদের সহযোগিতা করছিলাম। আচমকা গায়ে পড়ে সন্দীপ-সহ এবিভিপির ছেলেরা রড, লাঠি নিয়ে আমার উপর চড়াও হয়। নিজেদের রডের আঘাতেই সন্দীপ জখম হয়েছে।’’ নজরুলের আরও অভিযোগ, পরে কলেজের বাইরে বিজেপির নেতারা তাঁদের মারধর করে ও বন্দুক দেখিয়ে টিএমসিপি সমর্থক পড়ুয়াদের হুমকিও দেয়। কলেজের অধ্যক্ষা উমা ভৌমিক বলেন, ‘‘কলেজ চত্বরে গোলমালের সূত্রপাত হলেও পরে পুলিশ উভয়পক্ষকে বাইরে বার করে দেয়। বাইরে কী হয়েছে আমার জানা নেই।’’ কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, কোনও ছাত্র সংগঠনকেই পড়ুয়াদের ‘সহযোগিতা’ করার কোনও দায়িত্বও দেওয়া হয়নি।
টিএমসিপির জেলা সভাপতি আর্য ঘোষের দাবি, ‘‘এবিভিপির সংগঠন না থাকায় ওরা বিজেপির লোকজনকে এনে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছিল।’’