কেশিয়াড়িতে সভায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কর্মিসভা করতে এলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সভার আগেই তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বছরের প্রথম দিনই তেতে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি।
মঙ্গলবার কেশিয়াড়ি মোড়ে ছিল সভা। গত ২৩ ডিসেম্বর বৈঠক করতে এসে শুভেন্দু নিজেই এই সভার ডাক দিয়েছিলেন। কেশিয়াড়ি পৌঁছে কর্মীদের উপর আক্রমণের কথা জানতে পারেন তিনি। আর তারপরই সভা থেকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “আমার বাড়ি থেকে কেশিয়াড়ি এক ঘন্টা দশ মিনিটের রাস্তা। আমি যদি বাড়ি থেকে তিন ঘন্টার দূরত্বে নেতাই গিয়ে লাশ তুলতে পারি, তবে এক ঘন্টা দশ মিনিটে কী করতে হয় আমি জানি।’’
শুভেন্দুর সভার কয়েকঘন্টা আগে এ দিন সকালে কেশিয়াড়ির লালুয়ার জামদিতে পতাকা লাগানো নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি গোলমাল শুরু হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, দলীয় পতাকা লাগানোর সময় বিজেপি হামলা চালায়, আহত হন তিনজন। যদিও বিজেপি নেতা সনাতন দোলাইয়ের বক্তব্য, ‘‘একশো দিনের কাজের টাকা পায়নি বলেই মানুষের ক্ষোভ ছিল। হামলার অভিযোগ সত্যি নয়।’’ এ দিনের বক্তব্যে আগাগোড়া বিজেপি-কে বিঁধেছেন শুভেন্দু। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম না করেই শুভেন্দুর বার্তা, ‘‘আমি তো সোজা করে দিয়েছি মাওবাদীদের আর সিপিএমকে। আপনি তো কিষেনজির থেকে বড় নেতা নয়। আপনি তো অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডের থেকে বড় নেতা নন।’’ জামদির ঘটনা সম্পর্কে তিনি রিপোর্ট দিতে বলে যান বিধায়ক পরেশ মুর্মু, বিক্রমচন্দ্র প্রধান ও ব্লক সভাপতি পবিত্র শীটকে। পুলিশকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। আর বিজেপি-র উদ্দেশে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘‘বিজেপির গুন্ডা, হার্মাদদের বলছি, ওখানে যদি আর এক ইঞ্চি এগোন, তাহলে কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একেবারে জামদিতে, লালুয়াতে দেখা হবে।’’
গত পঞ্চায়েত ভোটে কেশিয়াড়িতে মাথা তুলেছে বিজেপি। এই এলাকা পুনর্দখলের ভার তাই শুভেন্দু সঁপেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুও এ দিন স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘‘কেশিয়াড়িতে ঘুরে কীভাবে শূন্য থেকে পূর্ণ করতে হয় এটা তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতারা জানেন।’’ আগামী ১৩ জানুয়ারি কেশিয়াড়িতে ব্রিগেডের প্রস্তুতি সভার কথা এ দিন জানিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু।