—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘ভুয়ো’ শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে তমলুকের খামারচক হাইস্কুলের সহ-শিক্ষক শুভেন্দু হাটুয়ার বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক)। তার পরই হাইকোর্টের নির্দেশে ওই মামলার তদন্ত শুরু করল সিআইডি।
শুক্রবার সিআইডির তদন্তকারী দল তমলুক শহরের মানিকতলায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের ( মাধ্যমিক) অফিসে যায়। সিআইডির আধিকারিকেরা খামারচক হাইস্কুলের সহ-শিক্ষক শুভেন্দু হাটুয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসের আধিকারিক-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে যান। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গেও কথা বলে খোঁজখবর নেয় সিআইডির দল।
সিআইডি’র দল শুক্রবার তাঁর অফিসে আসার কথা স্বীকার করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শুভাশিস মিত্র বলেন,’’হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই খামারচক হাইস্কুলের সহ-শিক্ষক শুভেন্দু হাটুয়ার বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা আমার অফিসে এসেছিলেন। তাঁরা বিভিন্ন তথ্য চেয়েছিলেন। তা তাঁদের দেওয়া হয়েছে।’’
স্কুল সূত্রের খবর, অভিযুক্ত শিক্ষক শুভেন্দু হাটুয়া এফআইআর দায়েরের পর থেকে স্কুলে আসছেন না। তাঁর মোবাইল ফোনও টানা বন্ধ। এ দিনও তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।
পুলিশ ও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিস সূত্রের খবর, হাইকোর্টে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে সিআইডি পূর্ব মেদিনীপুরের একটি স্কুলের শিক্ষক ও বাঁকুড়া একটি স্কুলে ‘ভুয়ো’ শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিয়েছিল। সিআইডি’র রিপোর্টের ভিত্তিতে গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পূর্ব মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলার ওই দুই হাইস্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন এবং সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক ) গত সোমবার তমলুকের খামারচক হাইস্কুলের সহ-শিক্ষক শুভেন্দু হাটুয়ার বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন।
বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিস ও পুলিশ সূত্রের খবর, তমলুক ব্লকের খামারচক হাইস্কুলের সহ-শিক্ষক শুভেন্দু হাটুয়া ‘কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন’ বিষয়ের শিক্ষক। ওই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক হাটুয়ার দাবি, ’’হাইকোর্টের নির্দেশে মেনে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে শুভেন্দু হাটুয়া স্কুলে ‘কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন’ শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।’’
অশোক হাটুয়া আরও দাবি করেছেন যে, হাইকোর্টের একক বেঞ্চ তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিল তা নিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একক বেঞ্চের এফআইআর দায়েরের বিষয়ে নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে সিআইডি কেন তদন্ত শুরু করল। কেন এ দিন স্কুলে গিয়ে খোঁজখবর করল? আশোক হাটুয়ার দাবি, সিআইডির কাছে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ পৌঁছোয়নি।