শৈবালের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের পরেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতনের সাবড়া এলাকা উত্তপ্ত। দফায় দফায় এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ। উঠল গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাস্থলে বেলদা থানার পুলিশ।
দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের সাবড়াতে ব্লক তৃণমূল সভাপতি শৈবাল গিরিকে অপসারিত করা হয় বৃহস্পতিবার। তার পরেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শৈবালের ঘনিষ্ঠ নেতা আসগর আলির দু’টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা স্পষ্ট না হলেও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার ব্লক তৃণমূলের সভাপতিদের নাম ঘোষণা হয়েছে। বাদ পড়েছেন দাঁতনের ব্লক সভাপতি শৈবাল। তিনি জেলা পরিষদেরও কর্মাধ্যক্ষ। তা ছাড়া আগেই জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’দিন আগে তাঁর একটি অডিয়ো ভাইরাল হয় (এর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। তাতে জেলার বেশ কিছু নেতার সম্পর্কে মন্তব্য করেন তিনি। সেই শৈবালকে ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের সভাপতির অনুগামীরা মিছিল করেন। এর অব্যবহিত পরেই এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। শৈবাল-ঘনিষ্ঠ নেতার গাড়িতে আগুন ধরানো হয়। শৈবালের অনুগামীদের অভিযোগ, নতুন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এই ঘটনায় শৈবাল বলেন, ‘‘ওখানে কী হয়েছে জানি না। মেদিনীপুরে আছি।’’ নতুন ব্লক সভাপতি ইফতেকার আলির বক্তব্য, ‘‘দলনেত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দায়িত্ব দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টাও হয়নি। তার মধ্যে মিথ্যা অভিযোগ তুলে কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।’’ অন্য দিকে, এলাকার বিধায়ক বিক্রম প্রধানের দাবি, পুরোটাই নাকি সাজানো ঘটনা। তাঁদের দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করছে।
এই ঘটনায় কটাক্ষের সুযোগ ছাড়েনি তৃণমূল। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং পরিকল্পিত ঘটনা।’’ তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে যে আবার অশান্তি শুরু হয়েছে, তা বলতে দ্বিধা নেই। জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘‘মিথ্যা প্রচার চলছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।’’