শৈবাল গিরি। ছবি সংগৃহীত
শ্রীকান্ত মাহাতোর পর এ বার দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি। দলেরই এক কর্মীর সঙ্গে তাঁর কথপোকথনের অডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। শুধু জেলা নেতৃত্ব নয়, দলের সর্বময় নেত্রী ও সর্বভারতীয় সভাপতির বিরুদ্ধেও তাঁকে সুর চড়া করতে শোনা গিয়েছে।
ওই অডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে,‘‘ আমরা ভুল জায়গায় রাজনীতি করেছি। এখন সবই পয়সার খেলা,। আইপ্যাক-এর খেলা চলছে। অভিষেক জানেই না আইপ্যাক টাকা নিচ্ছে।’’ দলনেত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমাদের সঙ্গে নয়, চোর ডাকাতদের সঙ্গে দেখা করছেন দিদি।’’ প্রসঙ্গত, সদ্য শৈবালকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় এসেছেন গোপাল খাটুয়া।
দলের একাংশের মতে আইএনটিটিইউসি সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই সরব হয়েছে তিনি। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির বলেন, ‘‘এ রকম হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। দল যখন যাঁকে মনে করবে তাঁকেই দায়িত্ব দেবে। তাঁকে দিয়েই কাজ করাবে। হতাশা থেকেই ওনি এই কথা বলছেন’’ একই মত মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরাও। ওই অডিয়োতে সুজয়ের বিরুদ্ধেও সুর চড়া করতে দেখা গিয়েছে শৈবালকে।
পরে তিনি ক্যামেরার সামনে ক্ষোভ বজায় রেখেই বলেন, ‘‘দলে সাম্প্রতিক যা ঘটছে তাতে রাস্তাঘাটে মুখ দেখানো ভার। মানুষ নানা প্রশ্ন করছেন। আমি দিদিকেও বিষয়টি বলেছি।’’ অডিও প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘দলের এক কর্মী চা খেতে ডেকে আমাদের কথপোকথন ফোনে রেকর্ড করেছেন। আমরা ক্ষতি করার উদ্দেশে সে ওই কাজ করেছে। যদিও আমার ক্ষতি করতে পারবে না। এখন মনে হয় কলেজ জীবন থেকে রাজনীতি করাই ভুল হয়েছিল।’’
দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন, ‘‘পাগলের প্রলাপ বকছেন। তার কথার কী উত্তর দেব। দলের বিরুদ্ধে বলেছেন দল তার ব্যবস্থা নেবে।’’
এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর গুচ্ছাইত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আস্তে আস্তে দলের সমস্ত কর্মীরাই নেত্রীর বিরুদ্ধে যাবে। যার প্রতিফলন শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে।’’