পরিমল কাননে রিপোর্ট কার্ড নিয়ে তৃণমূল নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
বড়দিনে বনভোজনে আসা পর্যটকদের সঙ্গে জনসংযোগ সারল তৃণমূল। শুক্রবার চন্দ্রকোনা রোডের পরিমল কাননে ঘুরে ঘুরে রাজ্য সরকারের সাফল্যের রিপোর্ট কার্ড তুলে দেন তৃণমূল নেতারা। গড়বেতার গনগনিতেও পর্যটকদের কাছে গিয়ে সুবিধা-অসুবিধার কথা জেনে নেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ দিন বন দফতরের নগর ও বিনোদন শাখার অন্তর্গত চন্দ্রকোনা রোডের পরিমল কাননে যান তৃণমূলের চন্দ্রকোনা রোডের ব্লক সভাপতি রাজীব ঘোষ। ছিলেন যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাগর মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির দুই কর্মাধ্যক্ষ জ্ঞানাঞ্জন মণ্ডল, প্রসেনজিৎ ভুঁইয়া প্রমুখ। তাঁরা জানান, দলের বঙ্গধ্বনি যাত্রার অঙ্গ হিসেবেই এই কর্মসূচি। বনভোজনে আসা প্রতিটি দলের কাছে গিয়ে সৌজন্য বিনিময় করেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর কাজে খুশি কি না জেনে নেন পর্যটকদের থেকে। রাজীব বলেন, ‘‘এ দিন প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। রাজ্য সরকারের কাজ নিয়ে তাঁরা কী ভাবছেন সেটা জানা আমাদের দরকার ছিল। তাঁদের হাতে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট কার্ডও তুলে দেওয়া গেল।’’
গনগনিতে ছিলেন গড়বেতা ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ফারুখ মহম্মদ, গড়বেতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বাজপেয়ী প্রমুখ।
পরিমল কানন ও গনগনি—দুই জায়গাতেই এ দিন স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি চলছে সেটা দেখে বোঝার উপায়ও ছিল না এ দিন! অন্য বছরের বড়দিনের তুলনায় কম হলেও ভিড় ভালই হয়েছিল ওই দুই জায়গায়। দূরত্ববিধি উড়িয়েই চলে রান্না ও খাওয়া। প্রায় কারও মুখেই মাস্ক ছিল না।
মাস্ক পরেননি কেন? এ দিন পরিমল পার্কে বেড়াতে আসা আরামবাগের মেঘনা চক্রবর্তী, সুনির্মল ঘোষােলরা বলেন, ‘‘এখন তো করোনার প্রকোপ কমছে। টিকাও আসছে। সেই ভয়টা তো আর নেই।’’ গনগনিতে বেড়াতে আসা অরুণাংশু পালিত, আনন্দময় দাসদের আবার ব্যাখা, ‘‘এখন তো আর কেউ মাস্ক পড়ছে না। তাই আমরাও পড়িনি।’’