বঙ্গধ্বনি যাত্রায় বেিরয়ে রান্নায় ব্যস্ত বিধায়ক। মনসুকাতে। নিজস্ব চিত্র।
ভোট বড় বালাই! জন সমর্থন আদায়ে কখনও তিনি গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে বসে রান্না করছেন। কখনও আবার জ্বালানি কেটে, ধান ঝেড়ে সাহায্য করছেন গ্রামের মানুষকে। শ্রমিকদের পাশে থাকতে আবার ইটও বয়ে দিচ্ছেন। খেলছেন ক্রিকেটও। তৃণমূলের ‘বঙ্গধ্বনি’ কর্মসূচিতে বেরিয়ে দিনকয়েক ধরে গ্রাম-শহরে ঘুরে এ ভাবেই জনসংযোগ সারছেন ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই। যা দেখে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির থেকে সিপিএম, কিংবা কংগ্রেসও।
বিজেপির ঘাটাল সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলছেন, “আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরলে মানুষ দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। শঙ্কর দোলইয়ের এখন সেটাই হয়েছে।” আবার ঘাটালের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জগন্নাথ গোস্বামী ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরা দু’জনই বলছেন, “অতিভক্তি সব সময় চোরের লক্ষ্মণ।”
‘বিতর্ক’ শব্দটি নতুন কিছু নয় বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের কাছে। তাঁর নির্দেশ মতো না চললে সরকারি কর্মীকে ফোন করে হুমকি, কখনও আবার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে মিশে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। কখনও আবার সমাজমাধ্যমে বিতর্কিত পোস্ট করে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। ‘বঙ্গধ্বনি’ কর্মসূচিতে বেরিয়ে রান্না কিংবা জ্বালানির জন্য কঞ্চি কাটায় ফের সমাজমাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে শঙ্করকে ঘিরে। তৃণমূলের এক সূত্রের খবর, দিনকয়েক ধরে দলের ‘বঙ্গধ্বনি’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেই কর্মসূচিতেই বেরিয়ে ঢুকে পড়ছেন গ্রামের বাড়ি বাড়ি। শুক্রবার ঘাটালের মনসুকা, খড়কপুরে এক বাড়ির রান্নাঘরে ঢুকে রান্না করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। চাষিদের ধান ঝাড়তে দেখে নিজেই আবার মেশিনে করে ধান ঝাড়তে শুরু করেন। যুবকদের কাছে টানতে শুক্রবার ঘাটাল পুর-শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডে সিংহপুরে ক্রিকেট খেলতেও দেখা গিয়েছে। ঘাটালের আজবনগরে গিয়ে আবার শ্রমিকদের কাছ থেকে ইট নিয়ে বইতে দেখা গিয়েছে শঙ্করকে। তৃণমূল কর্মীদের অবশ্য বক্তব্য, “বিধায়কের কাজকর্মে লোকে যাই বলুক, দিনের শেষে দলেরই ভাল হবে!” আর যাঁকে ঘিরে এত বিতর্ক সেই শঙ্করের প্রতিক্রিয়া, “লোকে কে কী বলছে, আমি তা শুনছি না। যা করছি তৃণমূলের নির্দেশ মেনেই করছি। দল আমাকে জনসংযোগ বাড়াতে বলছে। আমি সেটাই করছি। এতে অন্যায় কোথায়?’’