নন্দীগ্রামে বাস এবং ট্রেকার সংঘর্ষে দুর্ঘটনায় একাধিক আহত একাধিক। —নিজস্ব চিত্র।
সড়কপথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। প্রাণ হারালেন ২ জন। আহত হলেন একাধিক যাত্রী। বুধবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকায়। যাত্রীদের উদ্ধারকাজে নামেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বেলা দেড়টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম-চণ্ডীপুর সড়কপথে ভেটুরিয়ার ঠাকুরচক এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম-ফটকের একটি যাত্রিবাহী বাস নন্দীগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় উল্টো দিক থেকে একটি যাত্রিবাহী ট্রেকার এসেছিল। বাস এবং ট্রেকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পিছন থেকে অন্য একটি বাস এসে সজোরে ধাক্কা মারে ট্রেকারটিকে। এর ফলে ট্রেকারটি মুচড়ে ঢুকে যায় বাসের নীচে। আটকে যান যাত্রীরা। বেশ কয়েক জন গুরুতর আহত বলে খবর।
স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিলেন। কিন্তু দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রেকারটি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য আনা হয় গ্যাস কাটার। এর পর বেশ কয়েক জনকে বার করে আনা হয়। কয়েক জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। এই দুর্ঘটনার জেরে প্রায় ২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে নন্দীগ্রাম-চণ্ডীপুর সড়কে যানচলাচল। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
পরে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের এক জন ওই ট্রেকারের চালক এবং অন্য জন যাত্রী। এ নিয়ে টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘আমার বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে একটি বাস দুর্ঘটনার খবরে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। এখনও পর্যন্ত ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৮ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আমি আন্তরিক ভাবে সমবেদনা জানাচ্ছে তাঁদের প্রিয়জন এবং পরিবারের সদস্যদের। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমার সীমিত সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের প্রয়োজনীয় সব রকম সাহায্যের চেষ্টা করব।’’