ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া, সরডিহা ও খালশিউলি এলাকায় টানা দশদিন ধরে বিএসএনএল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিএসএনএলের ল্যান্ডফোন, মোবাইল ফোন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা মিলছে না। এর ফলে, ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরে লিঙ্কের অভাবে গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বার বার খড়্গপুর টেলিকম দফতরে অভিযোগ জনিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের।
হিজলি টেলিফোন কেন্দ্রের অন্তর্গত মানিকপাড়া টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি কার্যত অচল হয়ে আছে। টেলিকম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুরের সাহাচক-পাঁচরোলিয়া এলাকায় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। গত ১৭ অগস্ট রাস্তার কাজের মাটি খোঁড়াখুঁড়ির সময় বিএসএনএলের অপটিক্যাল ফাইবার লাইন কেটে গিয়ে এই বিপত্তি। বিএসএনএল বসে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরের গ্রাহকরা। সরডিহা ও খালশিউলিতে রয়েছে দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক। মানিকপাড়ায় রয়েছে একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। মানিকপাড়া উপ ডাকঘরের অধীনে রয়েছে ২০টি শাখা ডাকঘর। ইন্টারনেটের লিঙ্ক না থাকায় স্থানীয় ডাকঘর ও ব্যাঙ্কগুলির কর্তৃপক্ষ পরিষেবা দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন।
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের সরডিহা শাখার ম্যানেজার পার্থ অধিকারী বলেন, “এক সপ্তাহের উপর বিএসএনএলের লিঙ্ক নেই। খুবই সমস্যায় পড়েছি। আমাদের নিজস্ব ভি-স্যাট রয়েছে বলে গ্রাহকদের কিছুটা পরিষেবা দিতে পারছি।” মানিকপাড়া উপ ডাকঘরের পোস্টমাস্টার সামিউল্লা চৌধুরী বলেন, “আমাদের যাবতীয় পরিষেবা বিএসএনএলের মাধ্যমে হয়। গত সাতদিন কোনও রকম লেনদেন হয়নি। গ্রাহকদের পরিষেবাও দেওয়া যায়নি। গ্রাহকদের ক্ষোভ সামাল দিতে আমরা হিমসিম খেয়েছি।”
মানিকপাড়ায় মেয়েদের একটি অনাথ আশ্রমের সুপারভাইজার কাজল চক্রবর্তী বলেন, “গত ১৭ এপ্রিল থেকে বিএসএনএল ল্যান্ডফোন, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।” বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, অপটিক্যাল ফাইবার সারানো হয়ে গিয়েছে। সোমবার রাত থেকেই পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।’’