নিজস্ব চিত্র।
বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল এক তৃণমূল নেতার গাড়িচালকের বাড়ি। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকে ঘটনাটি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তরুণ জানার গাড়িচালক মহাদেব বারিকের বাড়িতে ওই বোমা বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় মহাদেবের বৃদ্ধ বাবা দিবাকর বারিক গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে কাঁথি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খবর পেয়ে কাঁথি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তবে ওই বোমা কোথা থেকে এল, তা নিয়ে ধন্দে মহাদেবের পরিবার।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটসাউড়ি গ্রামের বাসিন্দা মহাদেব দীর্ঘ দিন ধরেই কাঁথি দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণের গাড়িচালকের কাজ করেন। বুধবার মহাদেবের পুরনো মাটির বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল। সেই সময়েই বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয়দের দাবি, দিবাকর শাবল দিয়ে দেওয়ালে মারতেই প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। দূরে ছিটকে পড়েন দিবাকর। তাঁর শরীরের নানা জায়গায় গুরুতর চোট লাগে।
দিবাকরের পুত্রবধূ সূচনা বলেন, ‘‘কী করে এই এমনটা হল, জানি না। আচমকা বোমা বিস্ফোরণ হয়। এসে দেখি শ্বশুরমশাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। পড়শিরাও ছুটে আসেন। আমরা সবাই ধরাধরি করে ওঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাই।’’
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তৃণমূল নেতার গাড়িচালকের বাড়িতে কোথা থেকে বোমা এল, তা খতিয়ে দেখা হয়। তবে পুলিশের তরফে এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তৃণমূল নেতা তরুণও এখন এলাকায় নেই বলেই জানা গিয়েছে।
এই ঘটনায় উওর কাঁথির বিজেপি বিধায়ক সুমিতা সিন্হা বলেন, ‘‘শুধু এখানে নয়, সারা রাজ্যে এই ভাবে বোমার কারখানা করে রেখেছে তৃণমূল। এর আগে খেজুরিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। তা নিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) তদন্ত চালাচ্ছে। এই ঘটনারও এনআইএ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’