‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বেও ভ্রান্তিবিলাস। কর্মসূচিতে নামার আগে পিকে (ভোট কুশলী প্রশান্ত কুমার)-এর অফিসে ফোন করে সেই ভ্রান্তি সংশোধন করে নিলেন তৃণমূলের এক ব্লক সভাপতি।
দিদিকে বলোর শুরুতে বিধায়কদের যে নাম ও স্থানের তালিকা দেওয়া হয়েছিল সেখানে ছিল বেশ কিছু ভুল। কোথাও গ্রামের সঙ্গে গ্রামবাসীদের নাম মিলছিল না। কোথাও সেই নামের কোনও বাসিন্দার খোঁজই মিলছিল না। এ নিয়ে প্রথমবার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল কয়েকজন বিধায়ককে। দ্বিতীয় পর্বেও কাটল না সেই ‘অস্বস্তি’।
বৃহস্পতিবার থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক দলের দিদিকে বলো কর্মসূচি। এ দিনই বেশ কয়েকটি ব্লকের সভাপতি নেমে পড়েছেন জনসংযোগের কাজে। সাংবাদিক বৈঠক করে গ্রামে গ্রামে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন কয়েকজন ব্লক ও শহর সভাপতি। এদিন গড়বেতা ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে জানান তাঁর গ্রামে যাওয়ার কথা। তার আগে তিনি এদিন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের অফিসে ফোন করে তাঁকে দেওয়া ছাপানো তালিকার ভুল সংশোধন করে নেন। গত মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে ব্লক ও শহর সভাপতিদের ডেকে রাজ্য নেতৃত্ব নির্দেশ দেন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দিদিকে বলো কর্মসূচিতে জনসংযোগের কাজে নেমে পড়তে হবে। সে জন্য তাঁদের প্রত্যেকের হাতে দুটি করে 'ভিলেজ কিট' দেওয়া হয়। ভিজিটিং কার্ড, স্টিকার, টি শার্টের সঙ্গে কোন গ্রামে গিয়ে কাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে তা ছাপার অক্ষরে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে ‘ভিলেজ কিট’ দেওয়া হয়। গড়বেতা ১ ব্লক সভাপতি যে তালিকা পেয়েছিলেন তাতে বলা হয়েছিল, শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বনকাটি গ্রামে ৪ জনের বাড়িতে যেতে হবে তাঁকে। কলকাতা থেকে ফিরে খোঁজ নিয়ে তিনি দেখেন, যে ৪ জনের নাম তালিকায় আছে, তাঁদের কেউই বনকাটি গ্রামের বাসিন্দা নন। এমনকি, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরও বাসিন্দা নন। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি পাশের কাদড়া উত্তরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকাটি গ্রামে।
কী করবেন ভেবে না পেয়ে এ দিন সকালে সেবাব্রত পিকে-র অফিস থেকে দেওয়া নম্বরে ফোন করে সেই ভুল সংশোধন করে নেন। তিনি বলেন, ‘‘ফোন করে গ্রাম ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নামটা সংশোধন করে নিয়েছি পিকে-র অফিস থেকে। সেখান থেকে বলা হয়েছে, সঠিকভাবে গ্রামের ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নামটা ঠিক করে পাঠিয়ে দিতে। এমনকি তাঁরা পরে যোগাযোগ করে নেবেন বলেও জানিয়েছেন।’’ শুক্রবার সকাল থেকেই তিনি কাদড়া উত্তরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকাটি গ্রামে গিয়ে নির্দিষ্ট করা ৪ জনের বাড়ি সহ পুরো গ্রামে জনসংযোগে থাকবেন বলে এদিন জানিয়েছেন সেবাব্রত। অন্যদিকে গোয়ালতোড় ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ভাস্কর চক্রবর্তী এদিন আমলাশুলির লোখাবাদ গ্রামে দিদিকে বলো কর্মসূচিতে অংশ নেন। জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘কোথাও কোনও ভুলভ্রান্তি থাকলে সংশোধন করে নেওয়া হবে। এতে আমাদের জনসংযোগের কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না।’’