জখম বিজেপি কর্মী। নিজস্ব চিত্র
ছুটির দিনে বেরিয়েছিল বিজয় মিছিল। উচ্ছ্বাসে ভেসে হাতে করেই চকলেট বোমা ফাটাচ্ছিলেন এক বিজেপি কর্মী। তাতেই বাধল বিপত্তি। হাতেই বোমা ফেটে গুরুতর জখম হলেন সুনীল মুর্মু নামে ওই বিজেপি কর্মী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ এই কাণ্ড ঘটে চন্দ্রকোনা রোডের নয়াবসত অঞ্চলের ঘোষকিরায়। জখম বিজেপি কর্মী সুনীলের বাড়ি ঘোষকিরাতেই। তাঁকে প্রথমে দ্বারিগেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে সুনীলকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল হয়ে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর বাঁ হাতের তালুর অনেকটা অংশে আঘাত রয়েছে। জখম হয়েছে চোখ, মুখ, গাল, থুতনির কিছুটা অংশও।
শালবনি বিধানসভার অন্তর্গত চন্দ্রকোনা রোড ঝাড়গ্রাম লোকসভার মধ্যে পড়ে। শালবনিতে এ বার লিড পেয়েছে তৃণমূল। তবে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী। ঘোষকিরা বুথেও বিজেপি ১৪৫ ভোটে এগিয়ে রয়েছে। লোকসভা ভোটের সেই সাফল্য উদ্যাপনেই এ দিন চন্দ্রকোনা রোডের দু’টি এলাকায় বিজেপি কর্মীরা বিজয় মিছিল বের করেন। ডিগ্রি এলাকায় নির্বিঘ্নে মিছিল হলেও নয়াবসতের ঘোষকিরায় বিজেপির বিজয় মিছিলে ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিছিল ঘিরে গেরুয়া শিবিরের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। কর্মী-সমর্থকেরা মাইক বাজিয়ে আবির মেখে বাজি ফাটিয়ে মিছিলে শামিল হন। ফাটানো হচ্ছিল চকলোট বোমাও। এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘সুনীল হাতে করেই বোম ফাটাচ্ছিল। একটা বোম প্রথমবার ফাটেনি দেখে দ্বিতীয়বার হাতে নিয়ে তার সলতেই আগুন দিতেই বিকট শব্দে ফেটে যায় বোমটি। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সুনীল।’’
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ধীমান কোলে বলেন, ‘‘ঘোষকিরায় আমাদের বিজয় মিছিল হচ্ছিল। উচ্ছ্বাসের আতিশয্যে অসাবধানতায় চকলেট বোম ফাটাতে গিয়ে সুনীল মুর্মুর হাত জখম হয়েছে। এটা নিছকই দুর্ঘটনা।’’ জখম সুনীলের বাবা মকর মুর্মু
বলেন, ‘‘ছেলে বিজেপির সাধারণ সমর্থক। বিজয় মিছিলে গিয়েছিল। সেখানেই হাতে চকলেট বোমা ফেটে ও জখম হয়েছে।’’
এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল অবশ্য বিজেপিকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির মন্তব্য, ‘‘বিজেপির সংস্কৃতিই তো অস্ত্র, বোমা নিয়ে মিছিল করা। তাতেই যা হওয়ার তা হয়েছে।’’