পুলিশের গাড়িতে উঠছেন বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠন ঘিরে সকাল থেকেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল এবং বিজেপি, দু’দলই একে অপরের বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ করে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে সড়ক অবরোধ করতে নেমে পুলিশের হাতে আটক হলেন বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট।
বুধবার ছিল ঘাটালের ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠন। মারামারি, গন্ডগোলে ভোটাভুটি বন্ধ হয়ে যায়। তখনই বিজেপি বিধায়ক শীতল অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী পোড়েকে মারধর করেছেন তৃণমূলের লোকজন। মারের চোটে তিনি জ্ঞান হারিয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ঘাটাল শহরে রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি। ঘাটাল কলেজ মোড় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এর পর বিজেপি বিধায়ক-সহ বিক্ষোভকারীদের আটক করে গাড়িতে তোলে পুলিশ। পরে পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে বিজেপি।
অন্য দিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতে অশান্তির ঘটনায় তিন জনকে আটক করে তারা। সড়ক অবরোধের ঘটনাতেও বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিধায়কও রয়েছেন। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি। দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘‘ইড়পালার ঘটনার পর পুলিশ বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের আটক করছে। তার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করতে গেলে পুলিশ বিধায়ক-সহ ২৫ জনকে আটক করেছে।’’ অন্য দিকে, তৃণমূলের কটাক্ষ, অশান্তি করলে পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ করবেই। তৃণমূল জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে পুলিশ তার মতো ব্যবস্থা নেবে।’’
উল্লেখ্য, ইড়পালা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫টি আসনের মধ্যে আটটিতে জয়ী হয় বিজেপি। তৃণমূল পায় সাতটি আসন। বিজেপি পঞ্চায়েতও গঠন করে। কিন্তু সোমবার রমা মণ্ডল নামে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। তার পর বুধবার উপসমিতি গঠনের শুরু থেকেই শুরু হয় গন্ডগোল। বিজেপির অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঘাটাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।