শিক্ষকদের সম্মানিত করছেন শুভেন্দু। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর নালিশ, গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার পথে নিয়ে গিয়েছে বর্তমান সরকার। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘ভয়ঙ্কর অবস্থা চলছে। এর পরিবর্তন আমাদেরকে করতেই হবে।’’
মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুরে শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু। আয়োজনে ছিল বিদ্যাসাগর স্মৃতি রক্ষা কমিটি। কমিটির সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি। বিদ্যাসাগর হলে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি শমিত দাশ প্রমুখ। শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন, ‘‘অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা শিক্ষার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গকে পথ দেখিয়েছে। বর্ণপরিচয়ের স্রষ্টা বিদ্যাসাগর, বীরসিংহের সিংহশিশু।’’ কিন্তু শিক্ষকের মর্যাদা এখন পশ্চিমবঙ্গে নানাভাবে ভূলুন্ঠিত হচ্ছে, দাবি বিরোধী দলনেতার। তাঁর কথায়, ‘‘এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা আমাদেরকে ইংরেজি শিখতে দেয়নি। ১০ বছর স্কুলে, কলেজে কম্পিউটার পড়াতে দেয়নি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘অত্যন্ত লজ্জার বিষয়, আজ কে আসল শিক্ষক, কে ভুয়ো শিক্ষক, এটা বাছাই করতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকদের।’’ কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতি রাজ্যে কার্যকর করা হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রাজ্য সরকারকে বিঁধে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পাঠ্যপুস্তকে রানি শিরোমণির ইতিহাস পাবেন না। মাতঙ্গিনী হাজরার ইতিহাস পাবেন না। সিঙ্গুরের একটা চ্যাপ্টার পাবেন। চোর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম পাবেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘একই স্কুলে শিক্ষকের বেতন এক রকম, পার্শ্বশিক্ষকের বেতন আরেক রকম, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকের এক রকম। বিচিত্র ব্যবস্থা।’’ শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চাঁদ আর মহাকাশ গুলিয়ে ফেলছেন। বলছেন, চাঁদে গিয়েছিলেন রাকেশ রোশন।’’
অন্যান্যদের মধ্যে এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায়, জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অরূপ দাস, শঙ্কর গুছাইত প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষককে সংবর্ধিত করা হয়েছে।